বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতা কে, আকবর না শশাঙ্ক ?

 

যারা মনে করে মোগল বাদশা আকবর বঙ্গাব্দ চালু করেছে, তাদের মতে-   আকবর দিল্লির সিংহাসনে বসার পরই বঙ্গাব্দ চালু হয়। এই মতে আকবর সিংহাসনে বসেন ইংরেজি 1556 সালে। বর্তমানে চলছে ইংরেজি 2023 সাল। যদি ধরে নিই আকবর 1556 সালেই বঙ্গাব্দ চালু করেন, তাহলে ইংরেজি 1557 সাল হওয়া উচিত বঙ্গাব্দ-১।   সেক্ষেত্রে ইংরেজি 2023 সালে হওয়া উচিত 467 বঙ্গাব্দ। অথচ আমরা সকলেই জানি 2023 সালে পালিত হচ্ছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।  তাহলে আকবর বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠা করলে,  প্রায় হাজার বছরের পার্থক্য আসছে কিভাবে?  তাদের অনেকে আবার বললেন-  মোগল বাদশা আকবর নাকি বঙ্গাব্দ প্রচলন করেন ইসলাম ধর্মের আরব্য নবী হজরত মহম্মদের হিজরত-এর বছর অনুসারে। হজরত মহম্মদ মক্কা থেকে মদিনার দিকে যাত্রা বা হিজরত করেন ইংরেজি 622 খ্রিস্টাব্দে।   তাহলে 622 খ্রিস্টাব্দ থেকে বঙ্গাব্দ গণনা শুরু হলে 623  খ্রিস্টাব্দে বঙ্গাব্দ-১ ধরে আকবর বছর গণনা চালু করেন। তাহলে আমরা যদি হিসেব করি, তাহলে এই বছর 2023 সালে হওয়া উচিত ১৪০১ বঙ্গাব্দ। অথচ এটা ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। তাহলে প্রায় উনতিরিশ বছরের পার্থক্য এল কিভাবে?  কেউ কেউ বলেন আলাউদ্দিন হুসেন শা বঙ্গাব্দ চালু করেছে-  আমাদের জানা উচিত হুসেন শাহের রাজত্বকাল ইংরেজি 1494 থেকে ইংরেজির 1519 সাল পর্যন্ত । ইনি বঙ্গাব্দের প্রবর্তক হলে ইংরেজি 2023 সালে বঙ্গাব্দের বয়স প্রায় ৫০০ বছর।  অথচ আমরা ইংরেজি 2023 সালে ১৪৩০ বঙ্গাব্দ গণনা করছি।  এবার সহজ সরল অঙ্কের হিসেব বা যুক্তির হিসেব দেখি বঙ্গাব্দ চালু হয় কোন সময় এবং কে চালু করে-  বর্তমানে ইংরেজি 2023 সাল এবং বঙ্গাব্দ ১৪৩০, তাহলে বঙ্গাব্দ চালু হয়েছে ইংরেজি 593 সালে। আর ইতিহাস বলছে এই সময়ে বাংলার সিংহাসনে বসেন মহারাজ নরেন্দ্রাদিত্য শশাঙ্ক। মহারাজ নরেন্দ্রাদিত্য শশাঙ্ক 590 থেকে 625 খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রাজত্ব করেন।  তাহলে বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতা হলেন বাংলার ভূমিপুত্র রাজা শশাঙ্ক। এই ভয়ানক সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের দিনে, যখন মিডিয়ায়, ওয়েবসাইটে, খবরে, ভিডিও তে ক্রমাগত মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বঙ্গাব্দের নামে, তখন বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতা শশাঙ্কের নাম মনে রাখা এবং এই তথ্যটিকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়াটাই আমাদের দায়িত্ব।

যারা মনে করে মোগল বাদশা আকবর বঙ্গাব্দ চালু করেছে, তাদের মতে-

আকবর দিল্লির সিংহাসনে বসার পরই বঙ্গাব্দ চালু হয়। এই মতে আকবর সিংহাসনে বসেন ইংরেজি 1556 সালে। বর্তমানে চলছে ইংরেজি 2023 সাল। যদি ধরে নিই আকবর 1556 সালেই বঙ্গাব্দ চালু করেন, তাহলে ইংরেজি 1557 সাল হওয়া উচিত বঙ্গাব্দ-১।
সেক্ষেত্রে ইংরেজি 2023 সালে হওয়া উচিত 467 বঙ্গাব্দ। অথচ আমরা সকলেই জানি 2023 সালে পালিত হচ্ছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
তাহলে আকবর বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠা করলে, প্রায় হাজার বছরের পার্থক্য আসছে কিভাবে?
তাদের অনেকে আবার বললেন-
মোগল বাদশা আকবর নাকি বঙ্গাব্দ প্রচলন করেন ইসলাম ধর্মের আরব্য নবী হজরত মহম্মদের হিজরত-এর বছর অনুসারে। হজরত মহম্মদ মক্কা থেকে মদিনার দিকে যাত্রা বা হিজরত করেন ইংরেজি 622 খ্রিস্টাব্দে।
তাহলে 622 খ্রিস্টাব্দ থেকে বঙ্গাব্দ গণনা শুরু হলে 623 খ্রিস্টাব্দে বঙ্গাব্দ-১ ধরে আকবর বছর গণনা চালু করেন। তাহলে আমরা যদি হিসেব করি, তাহলে এই বছর 2023 সালে হওয়া উচিত ১৪০১ বঙ্গাব্দ। অথচ এটা ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
তাহলে প্রায় উনতিরিশ বছরের পার্থক্য এল কিভাবে?
কেউ কেউ বলেন আলাউদ্দিন হুসেন শা বঙ্গাব্দ চালু করেছে-
আমাদের জানা উচিত হুসেন শাহের রাজত্বকাল ইংরেজি 1494 থেকে ইংরেজির 1519 সাল পর্যন্ত । ইনি বঙ্গাব্দের প্রবর্তক হলে ইংরেজি 2023 সালে বঙ্গাব্দের বয়স প্রায় ৫০০ বছর।
অথচ আমরা ইংরেজি 2023 সালে ১৪৩০ বঙ্গাব্দ গণনা করছি।
এবার সহজ সরল অঙ্কের হিসেব বা যুক্তির হিসেব দেখি বঙ্গাব্দ চালু হয় কোন সময় এবং কে চালু করে-
বর্তমানে ইংরেজি 2023 সাল এবং বঙ্গাব্দ ১৪৩০, তাহলে বঙ্গাব্দ চালু হয়েছে ইংরেজি 593 সালে।
আর ইতিহাস বলছে এই সময়ে বাংলার সিংহাসনে বসেন মহারাজ নরেন্দ্রাদিত্য শশাঙ্ক। মহারাজ নরেন্দ্রাদিত্য শশাঙ্ক 590 থেকে 625 খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রাজত্ব করেন।
তাহলে বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতা হলেন বাংলার ভূমিপুত্র রাজা শশাঙ্ক। এই ভয়ানক সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের দিনে, যখন মিডিয়ায়, ওয়েবসাইটে, খবরে, ভিডিও তে ক্রমাগত মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বঙ্গাব্দের নামে, তখন বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতা শশাঙ্কের নাম মনে রাখা এবং এই তথ্যটিকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়াটাই আমাদের দায়িত্ব।

إرسال تعليق

আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!

أحدث أقدم