Page Nav

HIDE
ads banner

Breaking News:

latest

Top Ads

মঙ্গল শোভাযাত্রা হিন্দুদের জন্য মঙ্গল নাকি অমঙ্গল?

  একজন সচেতন হিন্দুর জন্য কেন পহেলা বৈশাখের নামে মঙ্গল শোভাযাত্রা পরিহার করা উচিত? ১. প্রথমত জ্যোর্তিবিজ্ঞানের বিধান অনুসারে পহেলা বৈশাখ শুর...

 

একজন সচেতন হিন্দুর জন্য কেন পহেলা বৈশাখের নামে মঙ্গল শোভাযাত্রা পরিহার করা উচিত? ১. প্রথমত জ্যোর্তিবিজ্ঞানের বিধান অনুসারে পহেলা বৈশাখ শুরু মেষ রাশি বা বিশাখা নক্ষত্রের শুরুতে, দিনটি পড়ে ১৫ এপ্রিল।  ২. নক্ষত্রের হিসাব হয় মহাকাশকে ৩৬০ ডিগ্রি ধরে, তাকে ১২ ভাগ করলে প্রতিভাগে পরে ৩০ ডিগ্রি। সূর্য এই ৩০ ডিগ্রি অতিক্রম করতে যতদিন সময় নেয়, সেই দিন মিলে ১ মাস হয়। সূর্য মেষ রাশি অতিক্রম করতে ৩১ দিন সময় নেয়, সে জন্য বৈশাখ মাস ৩১ দিনে। শুরুটা হয় বিশাখা নক্ষত্র দিয়ে, তাই গ্রহ নক্ষত্রের গতিবিধির কারনেই বর্ষারম্ভের দিন পরিবর্তন করা যায় না। ৩. পহেলা বৈশাখ এর দিন পরিবর্তন করে পাকিস্তান সরকার। সকালে সূর্যোদয় থেকে বৎসর শুরুর বিধান পরিবর্তন করে শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয় মধ্যরাত থেকে। তাদের লক্ষ্য হিন্দুদের ধর্মীয় বিধিবিধান নষ্ট করা। ৪. চৈত্র সংক্রান্তি হিন্দুর ধর্ম ও সমাজ জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। পুরা চৈত্র মাস ধর্ম মাস। দেবাদিদেব শিব এই মাসে মর্তধামে নেমে আসেন মানুষকে আর্শীবাদ প্রদানের জন্য। এই মাস জুড়ে শিবের বিশেষ পুজা, রাম নবমী, নবরাত্রি ব্রত, শিব পার্বতীর বিবাহমাসের বিশেষ ব্রত। শিবের গর্জন (গাজন), চরক পুজা, নীল পুজা, জলসেবা ব্রতের সূচনা সহ নানা ব্রত পালনের মাস, চৈত্র সংক্রান্তির দিনে ব্রতের সমাপ্তি ঘটে। সমাপ্তির দিনটি হিন্দুর ধর্মীয়,  সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান সরকারের নির্দেশনায় ড: মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ এই পবিত্র দিনটিতে  পহেলা বৈশাখ ঘোষণা করেন। এরশাদ সরকার সেটা বাস্তবায়ন করেন। উদ্দেশ্য হিন্দু সংস্কৃতি নষ্ট করা। ৫. চৈত্র মাসে মাঠ ঘাট জলাশয় শুকিয়ে চৌচির হয়ে যায়। ফলে গাছ পালা বাঁচাতে জলসেচন দরকার পড়ে। মাঠে ফসল তোলা হয়ে যায় সেকারনে পশু পাখি খাদ্য ও জল সংকটে পড়ে। সেজন্য পরিবেশ রক্ষার জন্য শাস্ত্রকারগণ বৃক্ষে জলসেচন, পথে-ঘাটে বনে জল ভরা পাত্র স্থাপন, পাখিদের জন্য চালের খুদ বিতরন ইত্যাদি কাজ ধর্মের অংশ ঘোষণা করে জীববৈচিত্র্য রক্ষার মতৎ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, তথাকথিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় এধরনের মহৎ কোন উদ্দেশ্য নেই। ৬. মঙ্গল শোভাযাত্রার শুরু ইদানিং কালে। উদ্দেশ্য এরশাদ সরকারকে হঠানোর জন্য জনগণকে একত্রিত করা। এর জন্য বেছে নেওয়া হয় চীনা নববর্ষ পালনের ঐতিহ্যকে। যার মধ্যে নীতি নৈতিকতা,  আদর্শ, ধর্ম পরিবেশে রক্ষা বা জীব জগতের কল্যানের কোন বিষয় নেই। ৭.  চৈত্র সংক্রান্তি, নীলপুজা, চরকপুজা ও শিবের গাজন (গর্জন) মধ্য দিয়ে ক্ষত্রিয়তেজে জনগণকে উদ্দীপ্ত করারও একটি উদ্দেশ্য আছে। সৃষ্টির শুরু থেকে দৈত্য-দানব দেবতা ও মনুষ্য সমাজকে নানাভাবে পীড়া দিয়ে আসছে। নারী ও সম্পদ অপহরণ, জমি জমা দখল, গবাদি পশু লুন্ঠন র হতে রক্ষা পেতে জনসমাজকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য বছরে একটি মাস ক্ষত্রিয় বল তৈরী করার উদ্দেশ্যে শিবের গাজন (গর্জন) সহ অন্যান্য ব্রত পালন করা হয়। ৮. শিবের গাজন, নীল পুজা, রামনবমী সহ নানা ব্রত ও ধর্মীয় উৎসবের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয়, নীতিকথা, সমাজধর্ম, ধর্মোপদেশ ও পৌরাণিক কথা নাটক, কথক ও নৃত্য গীতের মধ্য দিয়ে পরিবেশনের মাধ্যমে পরিবার ও সমাজকে সুসংহত, জীবজগতের কল্যান, প্রকৃতির সাথে জীবের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক জ্ঞান প্রচার ও পালনে বাধ্যবাধকতার শিক্ষা দেয়। নববর্ষের দিন এগিয়ে আনার কারনে আমাদেরকে ধর্ম, সমাজ, নীতি আদর্শ পরিবেশ প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞান আরোহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রকারান্তরে এসব ধ্বংসে মানুষকে সম্পৃক্ত করছে। যা কোন সচেতন মানুষের কাম্য হতে পারে না। ৯. হিন্দু সমাজ ক্ষয়িষ্ণু, এই ক্ষয়িষ্ণুতার প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে আমাদেরকে সংরক্ষণ নীতি পালন করতে হবে। বিধর্মীরা আমাদেরকে কনভার্ট করে তাদের দলভুক্ত করাকে ধর্মীয় কর্তব্য মনে করে। আমাদের মেয়েরা সাংস্কৃতিক মানষিকতার কারনে প্রায়শই তাদের খপ্পরে পড়ছে। লাভ জিহাদের শিকার হচ্ছে। এইসব উৎসব তাদের টার্গেট। সুতরাং আমাদের অস্তিত্ব,  ও মান মর্যাদা রক্ষার্থে আমাদের ছেলে মেয়েদের ধর্ম ও নীতি আদর্শের মধ্যে রাখা বাঞ্চনীয়। এই সকল কারনেই নীতি নৈতিকতা ও আদর্শহীন তথাকথিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন না করে শাস্ত্রীয় বিধান মতে চৈত্র সংক্রান্তি, ত্রিশুল উৎসব  সহ অন্যান্য ব্রত ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য ও সারম্বরে পালন করুন।

একজন সচেতন হিন্দুর জন্য কেন পহেলা বৈশাখের নামে মঙ্গল শোভাযাত্রা পরিহার করা উচিত?
১. প্রথমত জ্যোর্তিবিজ্ঞানের বিধান অনুসারে পহেলা বৈশাখ শুরু মেষ রাশি বা বিশাখা নক্ষত্রের শুরুতে, দিনটি পড়ে ১৫ এপ্রিল।
২. নক্ষত্রের হিসাব হয় মহাকাশকে ৩৬০ ডিগ্রি ধরে, তাকে ১২ ভাগ করলে প্রতিভাগে পরে ৩০ ডিগ্রি। সূর্য এই ৩০ ডিগ্রি অতিক্রম করতে যতদিন সময় নেয়, সেই দিন মিলে ১ মাস হয়। সূর্য মেষ রাশি অতিক্রম করতে ৩১ দিন সময় নেয়, সে জন্য বৈশাখ মাস ৩১ দিনে। শুরুটা হয় বিশাখা নক্ষত্র দিয়ে, তাই গ্রহ নক্ষত্রের গতিবিধির কারনেই বর্ষারম্ভের দিন পরিবর্তন করা যায় না।
৩. পহেলা বৈশাখ এর দিন পরিবর্তন করে পাকিস্তান সরকার। সকালে সূর্যোদয় থেকে বৎসর শুরুর বিধান পরিবর্তন করে শুরুর সময় নির্ধারণ করা হয় মধ্যরাত থেকে। তাদের লক্ষ্য হিন্দুদের ধর্মীয় বিধিবিধান নষ্ট করা।
৪. চৈত্র সংক্রান্তি হিন্দুর ধর্ম ও সমাজ জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। পুরা চৈত্র মাস ধর্ম মাস। দেবাদিদেব শিব এই মাসে মর্তধামে নেমে আসেন মানুষকে আর্শীবাদ প্রদানের জন্য। এই মাস জুড়ে শিবের বিশেষ পুজা, রাম নবমী, নবরাত্রি ব্রত, শিব পার্বতীর বিবাহমাসের বিশেষ ব্রত। শিবের গর্জন (গাজন), চরক পুজা, নীল পুজা, জলসেবা ব্রতের সূচনা সহ নানা ব্রত পালনের মাস, চৈত্র সংক্রান্তির দিনে ব্রতের সমাপ্তি ঘটে। সমাপ্তির দিনটি হিন্দুর ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান সরকারের নির্দেশনায় ড: মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ এই পবিত্র দিনটিতে পহেলা বৈশাখ ঘোষণা করেন। এরশাদ সরকার সেটা বাস্তবায়ন করেন। উদ্দেশ্য হিন্দু সংস্কৃতি নষ্ট করা।
৫. চৈত্র মাসে মাঠ ঘাট জলাশয় শুকিয়ে চৌচির হয়ে যায়। ফলে গাছ পালা বাঁচাতে জলসেচন দরকার পড়ে। মাঠে ফসল তোলা হয়ে যায় সেকারনে পশু পাখি খাদ্য ও জল সংকটে পড়ে। সেজন্য পরিবেশ রক্ষার জন্য শাস্ত্রকারগণ বৃক্ষে জলসেচন, পথে-ঘাটে বনে জল ভরা পাত্র স্থাপন, পাখিদের জন্য চালের খুদ বিতরন ইত্যাদি কাজ ধর্মের অংশ ঘোষণা করে জীববৈচিত্র্য রক্ষার মতৎ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, তথাকথিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় এধরনের মহৎ কোন উদ্দেশ্য নেই।
৬. মঙ্গল শোভাযাত্রার শুরু ইদানিং কালে। উদ্দেশ্য এরশাদ সরকারকে হঠানোর জন্য জনগণকে একত্রিত করা। এর জন্য বেছে নেওয়া হয় চীনা নববর্ষ পালনের ঐতিহ্যকে। যার মধ্যে নীতি নৈতিকতা, আদর্শ, ধর্ম পরিবেশে রক্ষা বা জীব জগতের কল্যানের কোন বিষয় নেই।
৭. চৈত্র সংক্রান্তি, নীলপুজা, চরকপুজা ও শিবের গাজন (গর্জন) মধ্য দিয়ে ক্ষত্রিয়তেজে জনগণকে উদ্দীপ্ত করারও একটি উদ্দেশ্য আছে। সৃষ্টির শুরু থেকে দৈত্য-দানব দেবতা ও মনুষ্য সমাজকে নানাভাবে পীড়া দিয়ে আসছে। নারী ও সম্পদ অপহরণ, জমি জমা দখল, গবাদি পশু লুন্ঠন র হতে রক্ষা পেতে জনসমাজকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য বছরে একটি মাস ক্ষত্রিয় বল তৈরী করার উদ্দেশ্যে শিবের গাজন (গর্জন) সহ অন্যান্য ব্রত পালন করা হয়।
৮. শিবের গাজন, নীল পুজা, রামনবমী সহ নানা ব্রত ও ধর্মীয় উৎসবের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয়, নীতিকথা, সমাজধর্ম, ধর্মোপদেশ ও পৌরাণিক কথা নাটক, কথক ও নৃত্য গীতের মধ্য দিয়ে পরিবেশনের মাধ্যমে পরিবার ও সমাজকে সুসংহত, জীবজগতের কল্যান, প্রকৃতির সাথে জীবের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক জ্ঞান প্রচার ও পালনে বাধ্যবাধকতার শিক্ষা দেয়। নববর্ষের দিন এগিয়ে আনার কারনে আমাদেরকে ধর্ম, সমাজ, নীতি আদর্শ পরিবেশ প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞান আরোহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রকারান্তরে এসব ধ্বংসে মানুষকে সম্পৃক্ত করছে। যা কোন সচেতন মানুষের কাম্য হতে পারে না।
৯. হিন্দু সমাজ ক্ষয়িষ্ণু, এই ক্ষয়িষ্ণুতার প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে আমাদেরকে সংরক্ষণ নীতি পালন করতে হবে। বিধর্মীরা আমাদেরকে কনভার্ট করে তাদের দলভুক্ত করাকে ধর্মীয় কর্তব্য মনে করে। আমাদের মেয়েরা সাংস্কৃতিক মানষিকতার কারনে প্রায়শই তাদের খপ্পরে পড়ছে। লাভ জিহাদের শিকার হচ্ছে। এইসব উৎসব তাদের টার্গেট। সুতরাং আমাদের অস্তিত্ব, ও মান মর্যাদা রক্ষার্থে আমাদের ছেলে মেয়েদের ধর্ম ও নীতি আদর্শের মধ্যে রাখা বাঞ্চনীয়।
এই সকল কারনেই নীতি নৈতিকতা ও আদর্শহীন তথাকথিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন না করে শাস্ত্রীয় বিধান মতে চৈত্র সংক্রান্তি, ত্রিশুল উৎসব সহ অন্যান্য ব্রত ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য ও সারম্বরে পালন করুন।

No comments

আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!

Latest Articles