গত ২৪ মার্চ শুক্রবার দিনগত রাত একটার দিকে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামে পাওনা টাকা দিতে দেরী হওয়ায় বিষ্ণু সরকারকে হত্যা করে বন্ধু ...
গত ২৪ মার্চ শুক্রবার দিনগত রাত একটার দিকে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামে পাওনা টাকা দিতে দেরী হওয়ায় বিষ্ণু সরকারকে হত্যা করে বন্ধু মিন্নত আলী।
বন্ধু মিন্নত আলীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন বিষ্ণু সরকার (২২)। সেই টাকা ফেরত চেয়ে না পাওয়ায় দুজনের মধ্যে তর্ক হয়। এর একপর্যায়ে মিন্নত আলীর কোদালের আঘাতে নিহত হন বিষ্ণু সরকার।
বিষ্ণু সরকারের বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামে। ২৫ মার্চ শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ ২৪০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে-
বিষ্ণু সরকার থাকতেন পার্শ্ববর্তী বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম বাজারে। সেই সূত্রে তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামের মিন্নত আলীর। সম্প্রতি মিন্নত আলীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেন বিষ্ণু। কিন্তু পাওনা টাকা দিতে একটু দেরী হওয়ায়, ক্ষিপ্ত হয় যায় মিন্নত আলী।
শুক্রবার রাতে বিষ্ণুকে বাড়িতে আসতে বলেন মিন্নত আলী। বন্ধুর কথামতো শুক্রবার দিনগত রাত একটার দিকে মিন্নত আলীর বাড়িতে যান বিষ্ণু। সেখানে পাওনা টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মিন্নত আলী ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের ভেতরে থাকা একটি কোদাল দিয়ে বিষ্ণুর মাথায় আঘাত করেন। এতে বিষ্ণু ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। এরপর মিন্নত আলী লাশটি মাটি খুঁড়ে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করেন। বিষয়টি গ্রামবাসী আঁচ করতে পেরে তাঁকে আটক করে রাতেই পুলিশে দেন।
বানিয়াচং থানার পরিদর্শক আবু হানিফ বলেন-
লাশটি উদ্ধার ও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!