দুই পক্ষের রাজনৈতিক উত্তেজনার জের ধরে কুমিল্লার দেবিদ্বারের চানপুরে একটি সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা করে বাড়িঘর ভাঙচুরসহ মালামাল লুটের অভিযোগ ...
দুই পক্ষের রাজনৈতিক উত্তেজনার জের ধরে কুমিল্লার দেবিদ্বারের চানপুরে একটি সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা করে বাড়িঘর ভাঙচুরসহ মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
২০মে শনিবার বিকেলে পরিমল দাসের বাড়িঘর ভাঙচুর করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই আক্তারের নেতৃত্বে অর্ধশত দুর্বৃত্ত। এসময় একটি টিনের আধপাকা ঘর ও ঘরের মধ্যে থাকা টিভি, স্যোকেস, ফার্ণিচার ভাঙচুরসহ স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ উঠেছ।
সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য পরিমল দাস বলেন- ’আমি এমনেতেই সংখ্যালঘু মানুষ। আমাকে যেখানে পাবে হত্যা করবে বলে গেছে উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। আমি এই দেশে জীবিত থাকতে পারবো কি-না জানি না। আমি থানায় অভিযোগ দিলে ওরা আবার আমার উপর হামলা করবে, তাই অভিযোগও দেইনি’।
দেবিদ্বারের চাঁনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একই দিনে সমাবেশ ডাকে উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। সমাবেশে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন৷ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সেখানে শনিবার সমাবেশ করে ইউনিয়ন ও উপজেলা ছাত্রলীগ৷ যার প্রধান অতিথি ছিলেন দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। সমাবেশস্থল থেকে হঠাৎ উত্তেজিত নেতারা সংখ্যালঘু পরিমল দাসের বাড়িতে হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঘটনার সুত্রপাতের বিষয়ে পরিমল দাস বলেন- ’আজ বিকেলে চানপুর মাঠে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ আলাদা দুইটি মিটিং ডাকে। মিটিংয়ে দুই পক্ষের মাঝে তর্ক-বিতর্ক থেকে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। তাই উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সমর্থক ও ফতেহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই আক্তার অর্ধশত ছেলে ও দেশি অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমার একমাত্র আশ্রয়স্থলটি ভেঙে দেয়। টিন গুলো ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলে। টিভি, আলমিরাসহ ফার্নিচার ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। এসময় আমার পরিবারের কাছে বলে যায়, আমাকে পেলে হত্যা করবে’৷
এই বিষয়ে জানতে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করেও মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!