Page Nav

HIDE

Breaking News:

latest

Top Ads

পুজো ও হোমের মধ্য দিয়ে নয়া সংসদের দ্বারোঘাটন করলেন মোদী

দিল্লিতে সেন্ট্রাল ভিস্তার অন্তর্গত নতুন সংসদ ভবনের দ্বারোঘাটন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার থেকে ত্রিভুজাকৃতি চারতলা এই নয়া ভবন...

পুজো ও হোমের মধ্য দিয়ে নয়া সংসদের দ্বারোঘাটন করলেন মোদী


দিল্লিতে সেন্ট্রাল ভিস্তার অন্তর্গত নতুন সংসদ ভবনের দ্বারোঘাটন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার থেকে ত্রিভুজাকৃতি চারতলা এই নয়া ভবনে শুরু হল সংসদের যাবতীয় কাজকর্ম। নয়া ভবনের দ্বারোঘাটনের পর অধিবেশন কক্ষে ভাষণ দেন নমো।

এদিন নতুন এই সংসদ ভবন নির্মাণকে 'আত্মনির্ভর ভারতের সূর্যোদয়ের সাক্ষী' বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি, প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি ও স্থাপত্য শৈলীর ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। টেনে আনেন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নের কথাও।

নয়া ভবনের অধিবেশন কক্ষে মোদী বলেন, "১৪০ কোটি ভারতবাসীর আকাঙ্খা আজ পূরণ হয়েছে। গণতন্ত্রের মন্দির তৈরিতে যে ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন হয়, সেটা দেশবাসী দেখাতে পেরেছেন। ভারত যে বিকশিত হয়ে উঠছে, তার প্রমাণ এই নতুন সংসদ ভবন।"

এর পরই প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্য শৈলীগুলির উদাহরণ টানেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "সিন্ধু সভ্যতা থেকে শুরু করে মৌর্য বা চোল সাম্রাজ্য --- যে সমস্ত স্থাপত্য প্রাচীন ভারতে তৈরি হয়েছে, তা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করত বিশ্ব। কিন্তু পরাধীন দেশবাসীকে সেই ইতিহাস ভোলানোর চেষ্টা করেছে ব্রিটিশ শাসকরা।"

প্রাচীন সেই স্থাপত্য শৈলী ও ইতিহাস যে তাঁর সরকারের আমলেই পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেতে চলেছে, এদিনের ভাষণে তা স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। “একটা সময় ছিল, যখন আমরা শুধু বিদেশিদের বড় বড় স্থাপত্য শৈলী দেখে চমকে উঠতাম। আর বিস্ময় প্রকাশ করতাম। আজ আমরা সেই দিন পেরিয়ে এসেছি। নতুন নতুন নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এবার বিশ্বের চমকে ওঠার পালা। এটাই এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের পথে প্রথম পদক্ষেপ।” এদিনের উদ্বোধনী ভাষণে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। সকাল ৭টা নাগাদ নিজের বাসভবন থেকে নতুন সংসদ ভবনে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।

নয়া ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ে পুজো ও হোম করা হয়। সেখানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। পুজো শেষে গণতন্ত্রের মন্দিরের সামনে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন তিনি।

উল্লেখ্য, এদিন পুজো শেষে সোনার রাজদণ্ড বা সেঙ্গল লোকসভার অধ্যক্ষের আসনের পাশে স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী সরকারের দাবি, ১৯৪৭-র ১৫ অগাস্ট ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক ছিল এই সোনার রাজদণ্ড। এতোদিন সেটি প্রয়াগরাজের জাদুঘরের রাখা ছিল।

যদিও সরকারের এই যুক্তি মানতে রাজি নয় কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। এর ঐতিহাসিক তথ্য প্রমাণ দাবি করেছেন তাঁরা। এদিনের অনুষ্ঠান বয়কট করে কংগ্রেস-সহ ২০টি দল। অন্যদিকে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে BJP-র জোট সঙ্গী-সহ ২৫টি পার্টি।

No comments

আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!

Latest Articles