মেয়রের বিরুদ্ধে পুকুর দখলের অভিযোগ খনন করা হচ্ছে ‘কালিদাস বাবু’র নাম বদল করে নাম রাখা ‘লাল মিয়া পুকুর’ ‘বিউটিফিকেশন’ বা সৌন্দর্যবর্ধনের না...
মেয়রের বিরুদ্ধে পুকুর দখলের অভিযোগ খনন করা হচ্ছে ‘কালিদাস বাবু’র নাম বদল করে নাম রাখা ‘লাল মিয়া পুকুর’
‘বিউটিফিকেশন’ বা সৌন্দর্যবর্ধনের নামে নড়াইল জেলা পরিষদের পুকুর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বদলে ফেলা হয়েছে পুকুরটির নামকরণও। ‘কালিদাস বাবু’র নাম বদলে করা হয়েছে ‘লাল মিয়া’ পুকুর! দখলসহ নামকরণ বদলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরার বিরুদ্ধে।
‘কালিদাস ট্যাঙ্ক’ নামকরণ বদলের ফলে সাম্প্রদায়িকতার মনোভাব ফুটে উঠেছে।
ভুক্তভোগী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস এ তথ্য জানিয়ে বলেন- ‘কালিদাস ট্যাঙ্ক’ পুকুরটি দখলমুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যে পৌর কর্তৃপক্ষকে উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে। তবুও মেশিন দিয়ে পুকুরটির বিভিন্ন অংশে ‘বিউটিফিকেশন’ কাজ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে কালিদাস ট্যাঙ্ক পুকুরটি দখলের বিষয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুবাস চন্দ্র বোস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডক্টর লুৎফর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য খোকন কুমার সাহা সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুবাস চন্দ্র বোস বলেন- ১৯০৭ সালে তৎকালীন জমিদাররা দুই একর ৫ শতক জায়গার ওপর পুকুরটি খনন করেন। নামকরণ করা হয়- ‘কালিদাস ট্যাঙ্ক’। পরে পুকুরটি জেলা পরিষদের অধীন হয়। এসব কাগজপত্র ও তথ্য-প্রমাণ জেলা পরিষদের কাছে রয়েছে। তবে আইনের তোয়াক্কা না করেই নড়াইল পৌর মেয়র বিউটিফিকেশনের নামে পুকুরটি দখল করেছেন। এ ছাড়া ‘কালিদাস ট্যাঙ্ক’ নামকরণ বদলে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ‘লাল মিয়া পুকুর বিউটিফিকেশন’ নাম দিয়েছেন। নড়াইল পৌর মেয়র নামকরণ বদলে ফেলার অধিকার রাখেন কি না? বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মামলা দায়েরসহ আইনগতভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করা হবে বলে জানান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান।
এদিকে বিভিন্ন পেশার মানুষ বলেন, নড়াইল পৌর মেয়র ‘কালিদাস ট্যাঙ্ক’ নামকরণ বদলে হীন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সাম্প্রদায়িকতার মনোভাব ফুটে উঠেছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নামে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন এলাকার নামকরণ বদলের অপচেষ্টার অংশ হিসেবে ‘কালিদাস ট্যাঙ্কের নামকরণও বদলে ‘লাল মিয়া’ করা হয়েছে। এ নামকরণ বদলের প্রতিবাদ জানান বিভিন্ন পেশার মানুষ।
অভিযোগ অস্বীকার করে পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুমান আরা বলেন- জমির (পুকুর) কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে। খাজনাও নিয়মিত দিয়ে আসছি। উনি (জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান) যে অভিযোগ করেছেন, তা ঠিক নয়। পুকুরটি গভীরকরণ, হাঁটাপথ, বসার ব্যবস্থা, আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ বিষয়টি তদন্ত করেছে। ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ই সমাধান করবে।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!