গত ১৯ ফেব্রুয়ারী গোপালগঞ্জ-কাশিয়ানী উপজেলার হিন্দু মেয়ে বৈশাখী রায়কে তুলে নিয়ে যায় মুসলিম রফিক মল্লিকের ছেলে রহমান মল্লিক, বৈশাখী রায় কে ত...
গত ১৯ ফেব্রুয়ারী গোপালগঞ্জ-কাশিয়ানী উপজেলার হিন্দু মেয়ে বৈশাখী রায়কে তুলে নিয়ে যায় মুসলিম রফিক মল্লিকের ছেলে রহমান মল্লিক, বৈশাখী রায় কে তুলে নেওয়ার ১ মাসের বেশী সময় পার হয়ে গেলও উদ্ধার করে নি পুলিশ।
গত ২৮ মার্চ মঙ্গলবার সকালে এসএসসি পরিক্ষার্থী বৈশাখী রায়কে ফিরে পেতে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে গোপালগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন এসএসসি পরীক্ষার্থী বৈশাখী রায়ের বাবা দীপক রায়। সংবাদ সম্মেলনে দীপক রায় বলেন-
আমার মেয়ে বৈশাখী রায়ের জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী বয়স ১৫ বছর। আমার মেয়ে এম এ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। অন্যান্য দিনের মত গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আমার মেয়ে বৈশাখী সকালে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়।
এসময় আমার মেয়ে পোনা সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের উত্তর পাশে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সেখানে অবস্থান নিয়ে জঙ্গল মুকুন্দপুর গ্রামের রফিক মল্লিকের ছেলে আর রহমান মল্লিক ও তার সহযোগী আহাদুল মল্লিক, আহাদুল মল্লিকের স্ত্রী সুমি বেগম, পোনা গ্রামের খোরশোদ মোল্যার ছেলে আলম মোল্যা, জাটিগ্রামের কাওসার মোল্যার ছেলে বিল্লাল মোল্যা এবং বিল্লাল মোল্যার স্ত্রী ময়না বেগম জোরপূর্বক অপহরণ করে সাদা রঙ এর একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আমি কাশিয়ানী থানায় একটি অপহরণ মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। বরং উল্টো আমাকে একটি পেন্ডিং মামলায় আসামি করে চালান দেয়ার হুমকি দেয়। এতে আমি আতঙ্কিত ও নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
পরবর্তীতে আমি আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলাটি পিবিআই পুলিশের কাছে তদন্তের জন্য পাঠায় আদালত। আজ ১ মাস ৬ দিন পার হয়ে গেলেও কাশিয়ানী থানা পুলিশ ও পিবিআই পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই হিমানিশ বিশ্বাস আমাকে বলে তিন মাস পরে এসে যোগাযোগ করবেন।
মামলার প্রতিবেদন দিতে আমার তিন মাস সময় লাগবে। আমি একজন অপহৃত কন্যার অসহায় বাবা। আমি আমার মেয়ে উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতা কামনা করছি।
পিবিআই পুলিশের মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হিমানিশ বিশ্বাস বলেন-
ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, মোবাইল ট্র্যাকিং করে পাওয়া গেছে ঢাকায় আছে। পরে আর দেখা হয়নি। যদি আমরা ভিকটিম উদ্ধার করতে না পারি তাহলে আমি ৩ মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবো বলে বাদীকে জানিয়েছি।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম বলেন-
দীপক রায় আমাদের কাছে আসলে অভিযোগটি নিয়ে একজন আইও দিয়ে তদন্ত করে দেখা হয় তার মেয়ে প্রেম করে চলে গেছে। এরই মধ্যে তিনি আদালতে মামলা করেন। একই ঘটনায় দুইটা মামলা হয় না। পরে আমরা আর মামলা নেইনি। দীপক রায়কে পেন্ডিং মামলা দিয়ে চালান দেয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
তথ্যসূত্র:channel24bd.tv
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!