গত ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারত-গুজরাট রাজ্যের ভাদোদরা জেলার ফতেপুর এলাকায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় মসজিদের কাছ থেকে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।
ভাদোদরায় রামনবমী মিছিলে পাথর ছোড়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি। তিনি পাথর নিক্ষেপকারীদের সতর্ক করে বলেছেন- রামনবমীর শোভাযাত্রায় যারা পাথর ছুঁড়েছে তাদের বিরুদ্ধে এমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাতে ভবিষ্যতে তারা আর পাথরের দিকে তাকাবেন না।
অনুমান করা হচ্ছে-
পাথর ধৃত নিক্ষেপকারীদের বাড়িতে উত্তরপ্রদেশ স্টাইলে বুলডোজার প্রয়োগ করতে পারে ভাদোদরার প্রশাসন।
মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে-
বৃহস্পতিবার সারা দেশের পাশাপাশি গুজরাটের ভাদোদরা জেলার ফতেপুরা এলাকায় রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করেছিল স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। কিন্তু শোভাযাত্রাটি ওই এলাকার একটি মসজিদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কোনো বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তারই মাঝে মসজিদের কাছে থাকা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহনকারী পূণ্যার্থীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি পাথর নিক্ষেপ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পূলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা বিশাল পুলিশবাহিনী সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে।
এদিকে ভাদোদরার ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশের পরে, পুলিশ মধ্যরাতে একটি বিশাল কনভয় নিয়ে এলাকায় অভিযানে নামে। সেখানে বাড়িঘরে লুকিয়ে রাখা উপাদান খুঁজে পাওয়া যায় এবং বেশ কিছু মজুত ইঁটপাটকেল উদ্ধার হয় বলে খবর। মহিলা পুলিশসহ পুলিশবাহিনীর একটি বিশাল দল ফতেপুরা, হাতিখানা এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে ভাদোদরায় রামনবমীর মিছিলে পাথর ছোড়ার ঘটনার পর কারেলিবাগ থানায় জড়ো হয় হিন্দু সংগঠনের কর্মীরা। যেখানে ভিএইচপি, বজরং দলের কর্মীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা জমায়েত হন। অন্যদিকে ভাদোদরার ঘটনা নিয়ে গান্ধীনগর পুলিশ ভবন ‘ত্রিনেত্রে’ পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয় বলে মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে।