রাজশাহী নগরের রানীবাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয় করার জন্য জমি ইজারা পেয়েছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ। এই জমির পরিমাণ ১৪ শতাংশ। জেলা প্রশাসন বলছ...
রাজশাহী নগরের রানীবাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয় করার জন্য জমি ইজারা পেয়েছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ। এই জমির পরিমাণ ১৪ শতাংশ। জেলা প্রশাসন বলছে, যে কেউ আবেদন করলেই রাজস্ব আদায়ের জন্য জেলা প্রশাসক অর্পিত সম্পত্তি ইজারা দিতে পারে। আগামীকাল শুক্রবার এই জমিতে মিলাদ দেওয়ার কথা রয়েছে।
তবে সংসদ সদস্য এনামুল হক বলেন, তিনি ২০১৭ সালে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় করার জন্য যে জমি দিয়েছেন, তার দাম এখন প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। সেখানে ভবন নির্মাণের কাজ শেষের দিকে। এক মাসের মধ্যে হয়তো উদ্বোধন হবে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সেটি উদ্বোধন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সাধারণত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় শহরতলিতেই ভালো হয়। তিনি যেখানে জায়গায় দিয়েছেন, সেটাই উপযুক্ত। এখন যাঁরা অর্পিত সম্পত্তিতে কার্যালয় করতে যাচ্ছেন, তাঁরা মূলত রাজনৈতিক একটা জেলাসি থেকেই এটা করছেন। তাঁর জানামতে, জেলা প্রশাসন কোনো দলকে কার্যালয় করার জন্য জমি দিতে পারে না। হয়তো কোনো ব্যক্তির নামে দিয়েছে। সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই কোনো ভবন নির্মাণ করবেন না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের ভবন করার জন্য ২০১৭ সালে শহরের সিটিহাট এলাকায় ১০ কাঠা জমি কিনে দেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক। এই জমিটির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। এখন সেখানে প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচ করে সাড়ে চার হাজার বর্গফুটের একটি ভবনও করে দিচ্ছেন সংসদ সদস্য এনামুল হক।
এর মধ্যেই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় কার্যালয়ের জন্য জায়গা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। আবেদনের ভিত্তিতে গত রোববার শহরের রানীবাজার এলাকার একটি অর্পিত সম্পত্তি বরাদ্দ দেওয়া হয়। জায়গাটির পরিমাণ ১৪ শতাংশ। এরপর এই স্থান জেলা আওয়ামী লীগের শাখা কার্যালয় বলে ব্যানার টানানো হয়। সংসদ সদস্য এনামুলের করে দেওয়া নির্মাণাধীন ভবনেও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় বলে ব্যানার টানানো আছে।
রানীবাজারের এই জায়গায় পরিত্যক্ত পুরোনো ভবন রয়েছে। সেই জায়গা ইতিমধ্যে পরিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার বললেন, শুক্রবার বাদ আসর এখানে মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এরপর থেকে এটিই জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হতে শুরু করবে।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফুল হক বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অর্পিত সম্পত্তি যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ইজারা দিতে পারে। এই জমিতে ভবন নির্মাণ করা যাবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমতি নিয়ে ভবন করতে পারবেন, তবে সেই ক্ষেত্রে রাজস্বের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি অসুস্থ। তবে এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!