Page Nav

HIDE
ads banner

Breaking News:

latest

Top Ads

বামপন্থীরা ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে কিভাবে ধ্বংস করেছে -পল্লব মন্ডল

বামপন্থীরা পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা প্রচার এবং ইতিহাসকে বিকৃতকরণের মাধ্যমে আমাদের ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিয়েছে। এই ধরনের মিথ্যা-...

বামপন্থীরা ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে কিভাবে ধ্বংস করেছে  -পল্লব মন্ডল


বামপন্থীরা পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা প্রচার এবং ইতিহাসকে বিকৃতকরণের মাধ্যমে আমাদের ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিয়েছে।

এই ধরনের মিথ্যা-পরিকল্পিত ইচ্ছাকৃত অনুশীলনগুলি ধারাবাহিকভাবে প্রজন্মের উপর একটি নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছে, ভারতীয় কৃষ্টি সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারের জন্য অবিলম্বে এটি সংশোধন করা প্রয়োজন।

বামপন্থীরা সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িকতার দায়ে দুষ্ট, ১৯২০ সালে মস্কোতে কমিউনিস্ট পার্টির যে অধিবেশন হয়েছিল তাতেও পরে ষষ্ঠ অধিবেশনে গান্ধীজির জাতীয় আন্দোলন এবং স্বরাজের বিরোধিতা করা হয়েছিল। 

 ১৯৪২ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত তারাই ব্রিটিশ এবং মুসলিম লিগের চোখের মণি ছিল। তাইতো ডাইরেক্ট অ্যাকশন থেকে শুরু করে দেশভাগ সর্বত্রই তারা ব্রিটিশ এবং লিগের সম্পূর্ণ সমর্থক ছিল। ১৯১৭ সালে যখন বলশেভিক বিপ্লব হল, তখন। সেদিন কমিউনিস্টরা ইসলামিক শক্তির সঙ্গে একজোট হয়ে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন করে। 

 কমিউনিস্টরা কি অস্বীকার করতে পারবে, তারা সংখ্যায় যথেষ্ট ছিল না সোভিয়েত ইউনিয়ন জয়ের পক্ষে। তাই লেনিন সেদিন ঘোষণা করেছিলেন, ‘To all toiling Moslems of Russia and East, whose mosques and prayer houses have been destroyed, whose beliefs have been trampled on by the Czars and the opressors of Rus- Asia. Your beliefs and customs, your national and cultural institutions are declared henceforth free and inviolable... ওই রাশিয়ার কৃষক শ্রেণির বড়ো অংশ ইসলাম হওয়ায় লেনিনকে বিশেষ অনুরোধে ধর্মের নামে বিপ্লব সংগঠন করতে হয়েছিল। 

যে সমাজ চার্চ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তারা যদি সেই মাটিকে দার-উল-হারব (যেখানে ইসলাম চর্চা বন্ধ দ্বারেই করা যায়) থেকে দার-উল-ইসলামে (যেখানে অবারিত ইসলামিক চর্চার অনুমতি) রূপান্তরিত করে তা সলে অসাম্প্রদায়িক বিজ্ঞাপনের কভার স্টোরিতে ধর্ম উৎসাহের রোমান্টিসিজম। যে রোমান্টিক হাওয়া লেনিন দেখালেন তার গতিরূপ বদলে দিল স্তালিন। 

 স্তালিন যখন সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের মিত্র হল, তখন কেমন করে এ দেশের কমিউনিস্টরা দেশ স্বাধীন চাইবে? স্তালিন চাইতেন ভারত ভূ-খণ্ড মোট ১৬টি আলাদা রিজিয়নে ভাগ হোক। আর তিনিই বলেছিলেন ইসলামের জন্য, autonomous state চাই— The right to form autonomous states and even to separate if they so wished... নিদান ছিল ভারতের জন্য। ভারত ভাগের জন্য।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৪৪-এর টগবগে কমিউনিস্ট নেতা সাজ্জদ জাহির, যিনি দেশভাগের পর পাকিস্তানি কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হন তিনি পাকিস্তানের প্রত্যেক প্রান্তে ঘুরে ঘুরে মুসলিম রাষ্ট্রের দাবিকে প্রখর করেন এবং জিন্নাকে তাদের সর্বোচ্চ নেতা স্বীকার করেন।  

বামপন্থী কমিউনিস্টদের দেশকে বিখণ্ডীকরণের ধারাবাহিক কুৎসিত প্রয়াস অবশেষে বল পাই, যখন ইন্দিরা গান্ধী দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সমর্থন চেয়ে বসেন, ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি তাদের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেস-R সমর্থন করে, তাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল শিক্ষা। প্রকাশ্যে বামপন্থী ‘ইতিহাসবিদ' সৈয়দ নুরুল হাসান ১৯৭১ সালে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী হন। 

 ফলস্বরূপ, ভারতীয় ঐতিহাসিক একাডেমি এবং গবেষণায় নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়। শিক্ষায় রাজনীতিকরণ, সব কমিটিতে রাজনীতির লোকেদের প্রাধান্য শুরু হয়। এরপর Indian Council of History Research পুরোপুরি বামপন্থী ঐতিহাসিকরা দখল করে নেয়। ইতিহাসের মুখ বন্ধ করা হয়েছে তার গলা কেটে। 

 সাংবিধানিক অধিকার সম্পর্কে সমগ্র জাতিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করা হয়েছে। সংবিধানের ‘preamble' যাকে সংবিধানের আত্মা বলা হয় সেখানে emergency-এর সুযোগ নিয়ে secularism এবং socialism ঢুকিয়ে সমগ্র জাতিতে প্রতিবন্ধীতে পরিণত করা হয়েছে ঘৃণিত রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য। 

 মিথ্যাচার ও দুর্নীতি আশ্রয় নিয়ে আর্টিকেল ৩০A, ৩৫A-এর মাধ্যমে সংখ্যাগুরু হিন্দু সমাজকে তাদের ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। স্বাধীনতার পূর্বে এই দেশের মুসলিম লিগের সদস্যরা দেশভাগের পরে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে এরাই রাতারাতি বামপন্থী দলে আশ্রয় নেয়, বৃহত্তর ইসলাম সমাজকে লক্ষ্য করে অগ্রসর হয় কমিউনিস্ট শক্তি। আজও জামিয়া মিলিয়া, জে এন ইউ-এর মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুসলিম লিগধর্মী বামপন্থীদের আধিক্য। 

 এই মুসলিম লিগ ধর্মী বামপন্থী নেত্রী অরুন্ধতির গলাতে একাধিকবার স্লোগান উঠেছে কাশ্মীর ভারতের অঙ্গ নয়। কখনও সরকার যারই হোক না কেন সিস্টেম তাদের। যার ফলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম শেষ হয়ে যাচ্ছে। বামপন্থী মতাদর্শ আমাদের ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অনেকাংশেই দায়ী। 

 এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ভারত দিনের পর দিন ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী এবং অনাবশ্যক মুসলিমতোষণকারী দেশে পরিণত হয়েছে। কমিউনিস্ট নীতির ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও বামপন্থী মতাদর্শের প্রচার তরুণদের মধ্যে একটি বিকৃত দৃষ্টিভঙ্গির দিকে পরিচালিত করেছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ এবং পক্ষপাতদুষ্ট এবং এটি বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনার উপর রোট লার্নিংকে উৎসাহিত করে। 

 এটা দুর্ভাগ্যজনক যে শিশুদের জ্ঞানীয় ক্ষমতা একটি ইচ্ছাকৃত নকশা দ্বারা দমন করা হয়েছে। এইভাবে, তারা একাডেমিয়ায় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে এবং বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি অসহিষ্ণু মনোভাব পোষণ করে। সুশীল সমাজের গভীর পৃষ্ঠপোষকতা এবং সমর্থনের ফলে বামপন্থী লবি অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার অধিকারী। 

 মূল সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ‘সঞ্জীব সান্যাল' বলেছেন— 'The Left dominance over the intellectual establishment has its roots in the systematic 'ethnic cleansing' of all non-Left thinkers since the 1950sthe result of the systematic cleansing was that there were no non- Left academics remain- ing in the social sciences field in India by the early 1990s.'

ভারতজুড়ে বামপন্থীরা প্রধান প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাধান্য বিস্তার করে তাদের মুষ্টিগত করেছে, উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল JNU, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং AMU। বিপরীত দৃষ্টিভঙ্গিকে পদ্ধতিগত ভাবে মুছে ফেলা, বাম-আধিপত্যবাদী বিশ্বের একটি বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে এবং তাদের দ্বারা প্রচারিত উদারনৈতিক ধারণাটিও একটি প্রতারণা, কারণ বামপন্থীরা কোনও ভিন্নমত গ্রহণ করবে না। পুরানো হিন্দু ধর্মগ্রন্থ মুছে ফেলা এবং ইসলামিক ও খ্রিস্টান বর্বরতার মহিমান্বিতকরণ একই ঘটনার উদাহরণ।


এটা সত্যিই হতাশাজনক যে এই স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবীরা আমাদের ঐতিহ্যগত এবং প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক চর্চাকে পদদলিত করেছে। আমাদের সময়ে কে মহাভারত থেকে তিরুভাল্লুর কুরাল বা শান্তিপর্বের কথা শুনেছেন? দুঃখজনক সত্য হল যে এমন কিছু লোকই আছে যারা উপলব্ধি করে যে এই ধরনের অমূল্য প্রাচীন গ্রন্থের অস্তিত্ব রয়েছে। 

 ডক্টর অভয় ফিরোদিয়ার মতে, 'আমরা বামপন্থীদের প্রতি চরমভাবে ঝুঁকেছি এবং আমাদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ণ করেছি। আজ যে ইতিহাস শেখানো হয়েছে তা বিদ্বেষপূর্ণ, কৃত্রিম এবং মিথ্যাচার, যা আমাদের জমির প্রতি আমাদের সখ্যতাকে ভেঙে দিতে, আমাদের আত্মবিশ্বাসকে ধ্বংস করতে এবং আমাদের নিজেদেরকে আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতি সভ্যতা রুচিশীলতার উপর ঘৃণা করতে শিখিয়েছে। 

 যার জলজ্যান্ত উদাহরণ হল, বামপন্থী চিন্তাবিদ চকন লালের সঙ্গে হওয়া অপমানজনক ব্যবহার, তিনি ভারতের প্রথম কমিউনিস্ট কনফারেন্সের (১৯২৫, ডিসেম্বর, কানপুর) মুখ্য উদ্যোক্তা যিনি সত্যভক্ত নামে পরিচিত। তিনি একজন মানুষ যিনি বলেছিলেন কমিউনিজম এবং হিন্দুত্বের যোগ ঘটলেই ভারতে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব। 

 যখন তিনি কানপুর থেকে ‘সত্যযুগ এবং ভারত' প্রকাশ করলেন, তখন তাই ছিল তাঁর বার্তা। তিনিই কৃষ্ণ এবং রাম অবতারের তুলনা আনলেন কমিউনিস্ট পরিসরে। যারা প্রকৃত সাম্যবাদের প্রতীক। যারা নিপীড়িত মানুষের ত্রাতা। কেবল লেনিন-মার্কস কেন? ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে তিনি ভারতীয় করতে চেয়েছিলেন। এই ছিল তাঁর অন্যায়। কেউ সমর্থক করেনি তাঁকে।

 কানপুর সমাবেশে উপস্থিত তাবড় সব কমিউনিস্ট নেতা হজরত মোহানি থেকে এস ভি ঘাটে কিংবা মুজাফর আহমেদ— সবাই রেগে বোম। সত্যভক্ত যিনি বলেছিলেন এই দলের নাম হোক ইন্ডিয়ান কমিউনিস্ট পার্টি। যা ভারতের পুরা ইতিহাস, গৌরবের কাহিনি, হিন্দুত্বের মহিমা এবং তারসঙ্গে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য সাম্যবাদের প্রচার করবে। 

 কিন্তু কমিউনিস্টরা যে আসলে অ- স্পিরিচুয়াল। তাই সত্যভক্ত হলেন কোণঠাসা। তাঁর প্রস্তাব কেটে উড়িয়ে দেওয়া হলো। ১৯২৭ শে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয় সরকারি চর অপবাদে। হিন্দু লেফট — বামপন্থী অভিধানেই নেই। হিন্দু লেফট যেন oxymoron! এইটাই তো ভারতের কমিউনিস্টদের মজার খেলা। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম প্রধান এবং শেষ অন্যায় হিন্দুত্বকে দূরে ঠেলা। 

 হিন্দুর ইতিহাস বর্ণনায় যথাসম্ভব দৈন্যতা এবং ভারতীয় দর্শনবোধ থেকে দূরত্ব স্থাপন। তাই এই সত্যটা উদ্ঘাটনের জন্য 'Conservative thought' এই বইটির মাধ্যমে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছে পৌঁছানো উচিত কারণ এটি একটি যুক্তিযুক্ত এবং অহিংস পাল্টা পয়েন্ট উপস্থাপন করে।

এই বাম অনুপ্রাণিত ভাবধারা ভবিষ্যতের অঙ্কুরিত সমাজ ব্যবস্থার উপর আদর্শগতভাবে কু-প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে সমাজে অসামঞ্জস্য সৃষ্টি করে, এটি অসম প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি একটি তির্যক দৃষ্টিভঙ্গির দিকে পরিচালিত করে সমগ্র জাতিকে। ইসলাম, বাকস্বাধীনতা বা বামপন্থী উগ্রবাদের নামে রাজনৈতিক সহিংসতার প্রকাশ্য আলিঙ্গনের কারণেই এই সামাজিক অবক্ষয়। 

 ন্যাশনালালিজম এবং স্পিরিচুয়ালিটির মধ্যে যে গভীর সংযোগ তা জানতে পারেনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। বামপন্থীরা হিন্দু- হিন্দুত্ব বিরোধিতাকে প্রমোট করে। ওরা প্রকাশ্যে গো-মাংস চেটেপুটে খায়, দেব দেবী নিয়ে বিকৃত মিম করে। তা হয়ে যায় ধর্মনিরপেক্ষতা। কিন্তু একজন বামপন্থী মুসলিম ইয়াকুব মেনন কিংবা আফজল গুরু বা বুরহান ওয়ানীকে আদর্শ বলে মানে।  

ওদের সঙ্গে না ইনসাফি হচ্ছে। প্রতিবাদে— ভারত টুকরে করার শ্লোগান। আবার ওই ওরাই ক্ষুদিরামকে আতঙ্কবাদী বলত। এখনও মানে, বলে কম। বামপন্থীরা মুসলিম আক্রান্ত হলেই প্রতিবাদে মুখর। কিন্তু লাভ জিহাদে যখন শরীর ৩৫ টুকরো হয়ে যায় যখন চোখে ঠুলি, মুখে কুলুপ। তখন মিছিল বার করলে তা যে সম্প্রীতি বিনষ্ট করবে। ওদের চোখে রামনবমী উগ্রবাদ, কিন্তু আরবি সংস্কৃতির বোরখা হল গণতন্ত্রের চিহ্ন। 

 যোগী আদিত্যনাথ ভীষণ উস্কানিমূলক কথা বলেন কিন্তু আসাদউদ্দিন ওয়েসি কখনওই বিতর্কিত কথা বলেন না। বামপন্থীদের আরও এক বড় এজেন্ডা ইতিহাস বিকৃত করা। সত্যভক্ত সেই ইতিহাস উন্মোচন করে হিন্দুত্বের মর্যাদা চেয়েছিলেন। ইতিহাস একটা জাতির অনুসন্ধান এবং পর্যায়ক্রমিক বিবরণের দলিল। তাই এখানে যত বেশি বিকৃতি আমদানি করা যাবে তত বেশি পার্টির এজেন্ডা মজবুত হবে। 

 সমাজের পট এবং সংস্কৃতির পরিবর্তন করা যাবে। ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতপার্থক্য এক অতি সাধারণ বিষয় তাই এই একটা পথ, যে ঐতিহাসিক যতবেশি পার্টির অনুগত হবে, যতবেশি পার্টি লাইনে ভারতীয় সত্য গৌরব মুছতে পারবে সে হবে তত দামি ঐতিহাসিক। 

 ইতিহাস তো সরাসরি দেখা যায় না। ঐতিহাসিক পার্টির ‘yes boss' নিয়মে কালের পর কাল অর্ধসত্য বিকৃত এবং তুষ্টিকরণের ব্যাখ্যা দিয়েছে। তারা হল তারা যারা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা পূরণের জন্য সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার জন্য জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অর্ধসত্য এবং মনগড়া কথা ব্যবহার করে।

লেখক - পল্লব মন্ডল


এনসিইআরটিতে কীভাবে বামপন্থী মার্কসবাদী ঐতিহাসিকদের দ্বারা কী ইতিহাস পরিবেশিত হয়েছে তা সবাই জানে, আমাদের স্কুলের পাঠ্যক্রম কতটা ভালোভাবে ডিজাইন করা হয়েছে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে। অত্যাচারী ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসক ও বর্বর মুঘলদের এক অনন্য উচ্চতা প্রদান করা হয়েছে। 

 বামপন্থী ইতিহাসের কারণে এই লুণ্ঠনকারীদের তুলনায় সনাতন মূল্যবোধ, অনুশীলনগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে পরিকল্পিতভাবে দুর্বল এবং নিকৃষ্ট দেখানো হয়েছে। এনসিইআরটি-এর ইতিহাসের বইগুলি তাদের ছলনার দ্বারা আমাদের গর্বিত ইতিহাস এবং সমাজ সম্পর্কে আমাদের মনস্তাত্ত্বিক বৌদ্ধিক বিকাশ রুদ্ধ করার জন্য চতুরতার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছিল, ফলস্বরূপ, হিন্দুদের পর পর প্রজন্ম মগজ ধোলাই ও অপদস্থ হয়ে পড়েছে। 

 বামপন্থী ইতিহাসবিদ যেমন রোমিলা থাপার, ইরফান হাবিব, যোগেন্দ্র যাদব প্রমুখ এনসিইআরটি পাঠ্যক্রম ডিজাইন করেছেন বিভ্রান্তিমূলক ইতিহাস। এই ঐতিহাসিকরা যতই গোলাপী ছবি আঁকার চেষ্টা করুক না কেন, সত্যকে ভুলে ভুলিয়ে দিতে পারিনি, কোনও না কোনও সময় কোনও না কোনও লেখকের কলমে স্বমহিমায় তুলে দাঁড়িয়েছে। 

 বাবর থেকে শুরু করে ঔরঙ্গজেব পর্যন্ত মুঘল বর্বর শাসকরা জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠন করেছে, হিন্দু নারীদের ধর্ষণ ও হত্যা করেছে, হিন্দু মন্দিরগুলো ধ্বংস করেছে এবং হিন্দু ধর্মকে নির্মূলের চেষ্টা করেছে। এনসিআরটি পাঠ্যক্রমে মার্কসবাদী এবং হিন্দুবিদ্বেষী কমিউনিস্ট জঠরে লালিত পালিত ঐতিহাসিকদের দ্বারা আমাদের শেখানো হয় যে ঔরঙ্গজেব এবং শাহজাহানের মতো মুঘল শাসকরা যুদ্ধের সময় ভেঙে যাওয়া হিন্দু মন্দিরগুলি রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য অনুদান দিয়েছিল। 

 অথচ সত্যতা হলো কাফেরদের বিরুদ্ধে মুসলিম শাসকদের দ্বারা পরিচালিত যুদ্ধে ৪০ হাজারেরও বেশি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করা হয়েছিল।

দুঃখের বিষয় এই বিভ্রান্তিমূলক ইতিহাস চর্চার ফলে, ছোট বাচ্চাদের মন ছোটবেলা থেকেই বিষাক্ত হয়ে যায়। পরিবর্তে, তারা বামপন্থী মতাদর্শের প্রচারের অনুঘটক হয়ে উঠে। কমিউনিস্টদের দ্বারা রচিত পাঠ্যপুস্তকে তারা যে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়ায়, তাদের দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। 

 এই ধরনের বইগুলি অত্যাচারী এবং বর্বর মুঘলদেরকে সহনশীল এবং বড় মনের শাসক হিসাবে চিত্রিত করে, যারা অত্যাচারী হিন্দু রাজাদের অত্যাচারী শাসন থেকে হিন্দুদের মুক্ত করেছিল।

পরিশেষে এটাই বলা যায়, আমাদের দেশ তিন বার আক্রান্ত, ইসলামিক শাসন, ইংরেজ আমল এবং তারপর ও এখনও কমিউনিস্ট ইন্টেলেকচুয়াল শাসন। যারা ক্রমাগত ভারতীয় সংবিধানকে, বিচারব্যবস্থাকে নিজেদের পাপ লুকানোর জন্য ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে যাচ্ছে, সত্যিই যদি সংবিধানকে দেখা হয়, আমাদের সংবিধান এতটা উদার নয় যেটা আমাদের ‘বামপন্থী উদারপন্থী'-দের দ্বারা মিথ্যাভাবে প্রচার করা হয়েছে। বাকস্বাধীনতার উপর সম্ভাব্য বিধিনিষেধ রয়েছে। 

 যদিও, আমাদের প্রিয় ভারতীয় উদারপন্থীরা তাদের সুবিধামতো ক্রমাগত গর্জন করে এবং সাংবিধানিকভাবে দেশপ্রেমিক হওয়ার একটি মুখোশ উপস্থাপন করে।

মেকলের বিকৃত মতাদর্শ এবং পক্ষপাত, পদ্ধতিগতভাবে বাম- প্রভাবিত শিক্ষার মধ্যে এম্বেড করা হয়েছে। অভিজাত শিক্ষার প্রসারের নামে মার্কসবাদীরা শিক্ষা ব্যবস্থায় আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে, কমিউনিজম আসলে যা প্রচার করে তারা তার সম্পূর্ণ বিপরীতে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু এর মোকাবিলা করবে কে? আমাদের ঐতিহ্যগত জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক ব্যবস্থা বামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা সমালোচিত হচ্ছে। এটি পশ্চিমা দেশগুলিকেও প্রভাবিত করে।  

নেহরুভিয়ান-মার্কসবাদী ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা এবং পদ্ধতির কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তার ফলে ইতিমধ্যেই একটি প্রজন্ম অতি-সাম্প্রদায়িক ও উদারপন্থী পরিণত হয়েছে। এটি কেবল আমাদের সনাতনি নীতি ও মূল্যবোধকে দুর্বল করেনি বরং এটি হিন্দুদেরকেও রক্ষণাত্মক পর্যায়ে এনে দাঁড় করিয়েছে। 

 কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে সিলেবাস সংশোধন করতে হবে, যা দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে ৯ বছর সফলতাপূর্বক সরকার চালানোর পরও। যদি অবিলম্বে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তবে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়বে, এটা একদম ধ্রুব সত্য।

যেমনটা বল্লভভাই প্যাটেল বলেছিলেন— 'আমি অনুভব করেছি আমাদের তথাকথিত ভারতের ইতিহাস রচনা ত্রুটিহীন নয় এবং সত্যের পথেও হাঁটেনি।' কমিউনিস্টরা যে ধরনের আচরণ এই দেশের সঙ্গে করেছে, করে চলেছে তা মগজ অনুপ্রবেশের অধ্যায়। তা ভারত আত্মার সাথে তঞ্চকতা।



No comments

আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!

Latest Articles