মিঠাপুকুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রামের কালী মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় ৭মে রোববার বিকেলে উপজেলার বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রামের (রতিয়া বাজিতপ...
মিঠাপুকুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রামের কালী মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় ৭মে রোববার বিকেলে উপজেলার বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রামের (রতিয়া বাজিতপুর) নিজ বাড়ি থেকে কোহিনূর বেগমকে (৪৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে গত শুক্রবার কালী মন্দিরে কালী, শীতলা ও শিব দেবের মূর্তি থেকে মাথা ভেঙে ফেলার বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে। এ ঘটনায় একটি থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রামের বাসিন্দাদের তথ্য মতে গত সোমবার (১ মে) পর্যন্ত কালী মন্দিরে রাখা দেবদেবীর মূর্তি ঠিকঠাক ছিল। শুক্রবার (৫ মে) বিকেলে মন্দিরে রাখা কালী দেবী, শীতলা দেবী ও শিব দেবের মূর্তির মাথা ভেঙে ফেলার ঘটনা নজরে আসে।
ওই দিন রাতেই উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার, এএসপি (ডি সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন, ওসি মোস্তাফিজার রহমান ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নেওয়ার ঘোষণা দেন।
ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তার কোহিনূর বেগম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কোহিনূর জানান- কালী দেবী তাঁকে স্বপ্নে মন্দিরে দুধ-কলা দিতে বলেছিলেন। দুধ-কলা কিনেছিলেন ঠিকই কিন্তু মন্দিরে না দিয়ে তিনি ছেলে ও স্বামীকে খাইয়েছেন। এ কারণে কালী দেবী তাঁকে স্বপ্নে সাপ পাঠিয়ে ভয় দেখিয়ে রাত ১২টার পর মন্দিরে যেতে বলেছিলেন। এরপর বাড়ি থেকে কুড়াল নিয়ে গিয়ে তিনি তিন দেবদেবীর প্রতিমার মাথা ভেঙে ফেলেন।
ওসি বলেন- মন্দিরের দরজা খোলা ছিল বলে দাবি করেন কোহিনূর। মূর্তি ভাঙচুর করার কাজে ব্যবহৃত কুড়ালটি জব্দ করেছে পুলিশ। মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় খুব চাপে ছিলাম। কোহিনূর বেগমকে গ্রেপ্তার করার পর জিজ্ঞাসাবাদে মূর্তি ভাঙচুর করার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তাঁর কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন। কোহিনূর বেগম রতিয়া বাজিতপুর গ্রামের আমিনুর রহমানের স্ত্রী।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!