আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। জুলাই মাসে তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদন শুনবে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ১০ জুলাই সেই মামলার ...
আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। জুলাই মাসে তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদন শুনবে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। ১০ জুলাই সেই মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। তার আগে আপাতত জেলেই থাকতে হবে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে।
বুধবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রতের মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে তৃণমূল নেতার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী মুদিত জৈন। ১০ জুলাই জামিনের সেই মামলার শুনানি হবে বলে আদালত জানিয়েছে। এর পর অনুব্রতকে ১২ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।
এই প্রসঙ্গে মুদিত বলেন, ‘‘বুধবারের শুনানির সময় তৃণমূল নেতার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁরা আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। ১০ জুলাই সেই জামিন মামলার শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে। আপাতত অনুব্রতকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
এর আগে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তিহাড় থেকে আসানসোল জেলে ফেরত যাওয়ার আবেদন করেছিলেন গরু পাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। গত ৪ মে অনুব্রতের সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক রঘুবীর সিংহ।
গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি নিজেদের হেফাজতে তাঁকে রেখে দু’সপ্তাহ জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকে তিহাড়েই রয়েছেন অনুব্রত। অনুব্রত এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের বিরুদ্ধে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অভিযু্ক্ত হিসাবে অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিরও নাম রয়েছে চার্জশিটে।
অনুব্রত, সুকন্যা, মণীশ— তিন জনই এখন গরু পাচারকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লির তিহাড় জেলে রয়েছেন। গত ২৬ এপ্রিল ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুকন্যা। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!