'মনেরে আজ কহো রে, ভালো মন্দ যাহাই আসুক, সত্যেরে লও সহজে...', অভিজ্ঞতা বলে, সত্যি হজম করতে দম লাগে। অধিকাংশ সময় সত্যি যে অপ্রিয়। ...
'মনেরে আজ কহো রে, ভালো মন্দ যাহাই আসুক, সত্যেরে লও সহজে...', অভিজ্ঞতা বলে, সত্যি হজম করতে দম লাগে। অধিকাংশ সময় সত্যি যে অপ্রিয়। 'দ্য কেরালা স্টোরি' এমনই এক অপ্রিয় সত্যি তুলে ধরেছে, দাবি পরিচালকের। ছবির শেষে কিছু ভুক্তভোগীর বক্তব্য দিয়ে, পরিচালক নিজের দাবিকে জোরালো করতে ভোলেননি। কোন সেই অপ্রিয় সত্যি? কেরলে এক অদ্ভুত হাওয়া। কিছু হিন্দু মেয়ে, যাঁরা সদ্য কলেজে পা রেখেছেন, তাঁদের ছলবলে কৌশলে মুসলিম ধর্মাবলম্বী করতে ফাঁদে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। তারপর আইএসআইএসের ঝাঁঝে ঝলসায় যে সিরিয়া, সেখানে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এসব মহিলাদের পরিণতি কি? ধর্ষিত হওয়া বা চূড়ান্ত অত্যাচারের শিকার হওয়া। এমনকী মানববোমা হতে রাজি হয়ে যাওয়া!
এ ছবির গল্প এগিয়েছে শালিনী উন্নিকৃষ্ণণকে (আদা শর্মা) ঘিরে। সরল একটি মেয়ে। নার্সিং কলেজে ভর্তি হয়। চার বান্ধবীর দল গড়ে ওঠে। যেখানে একজনের ধর্ম ইসলাম। সেই মেয়েটি বাকি তিনজনকে বোঝাতে থাকে, 'ভগবান'-এর চেয়ে 'আল্লাহ' বেশি শক্তিশালী। তার পাতা ফাঁদে পা দেয় দু'জন। পরিস্থিতির কবলে পড়ে হিন্দু হয়েও হিজাবে মাথা ঢাকে তারা। শালিনীকে ছক কষে সন্তানসম্ভবা করে দেওয়া হয়। তারপর বলা হয়, সমাজের সামনে লজ্জা ঢাকতে, তাকে যদি বিয়ে করতে হয়, তা হলে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গিয়ে শালিনী হয়ে যায় ফতিমা। কিন্তু তখনও সে জানে না, কী ভয়ঙ্কর জীবন অপেক্ষা করছে সামনে। এই শালিনী বা শালিনীদের জীবন শেষ অবধি কোন খাতে বয়, সেটা নিয়ে ছবিটা।
-এই সময়
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!