চতুর্থ ধাপে সারা দেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত সারা দেশে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৬৪টি নতুন মসজিদের মধ্যে ২০০টি উদ্বোধন করেছেন।
অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে শেখ হাসিনা ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে ৫০টি, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৫০টি ও ১৬ মার্চ তৃতীয় ধাপে ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করেন।
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে শীতাতপনিয়ন্ত্রণব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে।
এ ছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন-প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণকেন্দ্র, গবেষণাকেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের আগে জানাজার ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামিক কনফারেন্স রুম থাকছে।
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, ইসলামি দাওয়াত, ইসলামি বই বিক্রয়কেন্দ্র, মসজিদের সঙ্গে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধাও রয়েছে।
‘এ’ ক্যাটাগরির অধীন ৬৪টি জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধা এবং ২ হাজার ৩৬০ দশমিক শূন্য ৯ বর্গমিটার প্রতিটি মেঝেসহ প্রায় ৬৯টি চারতলা মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
‘বি’ ক্যাটাগরির অধীন প্রতিটি ১ হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটার ফ্লোর স্পেস দিয়ে ৪৭৫টি মসজিদ তৈরি করা হচ্ছে।
আর উপকূলীয় অঞ্চলে ‘সি’ ক্যাটাগরির অধীন ২ হাজার ৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার মেঝের ১৬টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
আজকের অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ও সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলাকে যুক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারি কর্মকর্তা, আলেম-ওলামাসহ সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি ভিডিও-ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।