Page Nav

HIDE
ads banner

Breaking News:

latest

Top Ads

জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারাল তৃণমূল

  কলকাতা: জাতীয় রাজনৈতিক দলের তকমা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় রাজনৈতিক দলের তকমা থাকবে, তার জবাব চেয়েছিল নির্বাচন কমিশ...

 

কলকাতা: জাতীয় রাজনৈতিক দলের তকমা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় রাজনৈতিক দলের তকমা থাকবে, তার জবাব চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন৷ সেই জবাবও দিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এ দিন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস আর জাতীয় রাজনৈতিক দল নয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে আইনি পর্যালোচনা করছে তৃণমূল কংগ্রেস, এমনটাই জানিয়েছেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়৷    এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক, জাতীয় রাজনীতির দল হওয়ার প্রক্রিয়া কী কী?    এক, লোকসভা নির্বাচনে কোনও দলকে অন্তত তিনটি রাজ্য থেকে ভোটে লড়তে হবে ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে  মোট লোকসভা আসনের ২ শতাংশ আসনে জিততে হবে।    দ্বিতীয় শর্ত হল, লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ৪টি রাজ্যে ৬ শতাংশ করে ভোট পেতে হবে ও এক বা তার বেশি রাজ্যে ৪টি লোকসভা আসন পেতে হবে।    তৃতীয় শর্ত, ৪টি বা তার বেশি রাজ্যে রাজ্য দলের তকমা থাকতে হবে দলের কাছে। এই তিন শর্তের যে কোনও একটি পূরণ করলেই জাতীয় দলের তকমা পাওয়া যায়।    জাতীয় দলের তকমা কেন হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?    শর্ত ১: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি বিরোধী দলের প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও কোনও রাজ্য থেকেই প্রার্থী দেয়নি তাঁর দল। শুধুমাত্র সমর্থন জানিয়েছিল অন্য দলকে। সেই হিসেবে তিনটি রাজ্য থেকে ভোটে লড়া হয়নি। তবে দেশের নিরিখে ২ শতাংশের বেশি আসনেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে ২২ টি আসন ছিল তৃণমূলের হাতে। যদিও তা ছিল শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ থেকেই    শর্ত ২: পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৪-এর বেশি আসন রয়েছে তৃণমূলের হাতে। ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে মেঘালয় থেকে তৃণমূলের ঝুলিতে এসেছে প্রায় ১৪ শতাংশ ভোট আর ত্রিপুরায় পাওয়া ভোট শতাংশ ১-এরও কম (০.৮৮ শতাংশ)। আর ২০২২ সালে গোয়ায় তৃণমূলের ভোট শতাংশ ছিল ৫.২১ শতাংশ, অর্থাৎ ৬ শতাংশে কিছুটা কম। জাতীয় দলের তকমা পাওয়ার মতো ভোট শতাংশ আসেনি তৃণমূলের হাতে।    শর্ত ৩: রাজ্য দলের তকমা তখনই দেওয়া হয়, যদি সেই দল সংশ্লিষ্ট রাজ্যে অন্তত ২টি বিধানসভা আসন পায় ও কমপক্ষে ৬ শতাংশ ভোট পায়। তৃণমূল বাংলার বাইরে শুধুমাত্র মেঘালয়েই ৫ টি আসন পেয়েছে। তাই এই শর্ত পূরণ করতে পারল না তৃণমূল।    আরও পড়ুন: চিনের হুঁশিয়ারির পরে পাল্টা হুঙ্কার! 'আমাদের এক ইঞ্চি জমিও দখল করতে পারবে না কেউ!' LAC-র দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা অমিত শাহের  ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর জাতীয় দল হিসেবে তৃণমূলকে স্বীকৃতি দেয় নির্বাচন কমিশন। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এই তকমা দেওয়া হয়েছিল। ওই বছর ৫ টি রাজ্যে ৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল ঘাসফুল শিবির। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও মণিপুর, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড ও অসমেও ভোটে লড়েছিল দল। সেবার পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৪ টি পেয়েছিল তৃণমূল। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের সেই তকমা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল।    জাতীয় দল হওয়ার সুবিধা কী কী?১. দলের জন্য একটি প্রতীক রিজার্ভ করা বা নির্দিষ্ট করা থাকে। অন্যথায় প্রতীক ‘ফ্রি’ হিসেবে গণ্য হবে।    ২. সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার পরিচালিত টেলিভিশন বা রেডিওতে সম্প্রচারের জন্য নির্দিষ্ট সময় পেতে পারে ওই দল।    ৩. নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা বা নির্বাচনী বিধি তৈরির ক্ষেত্রে মতামত দিতে পারে জাতীয় দলগুলি। অন্য দলের কাছে সেই সুযোগ থাকে না

কলকাতা: জাতীয় রাজনৈতিক দলের তকমা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় রাজনৈতিক দলের তকমা থাকবে, তার জবাব চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন৷ সেই জবাবও দিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এ দিন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস আর জাতীয় রাজনৈতিক দল নয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে আইনি পর্যালোচনা করছে তৃণমূল কংগ্রেস, এমনটাই জানিয়েছেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়৷


এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক, জাতীয় রাজনীতির দল হওয়ার প্রক্রিয়া কী কী?


এক, লোকসভা নির্বাচনে কোনও দলকে অন্তত তিনটি রাজ্য থেকে ভোটে লড়তে হবে ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে  মোট লোকসভা আসনের ২ শতাংশ আসনে জিততে হবে।


দ্বিতীয় শর্ত হল, লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে অন্তত ৪টি রাজ্যে ৬ শতাংশ করে ভোট পেতে হবে ও এক বা তার বেশি রাজ্যে ৪টি লোকসভা আসন পেতে হবে।


তৃতীয় শর্ত, ৪টি বা তার বেশি রাজ্যে রাজ্য দলের তকমা থাকতে হবে দলের কাছে। এই তিন শর্তের যে কোনও একটি পূরণ করলেই জাতীয় দলের তকমা পাওয়া যায়।


জাতীয় দলের তকমা কেন হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?


শর্ত ১: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি বিরোধী দলের প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও কোনও রাজ্য থেকেই প্রার্থী দেয়নি তাঁর দল। শুধুমাত্র সমর্থন জানিয়েছিল অন্য দলকে। সেই হিসেবে তিনটি রাজ্য থেকে ভোটে লড়া হয়নি। তবে দেশের নিরিখে ২ শতাংশের বেশি আসনেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে ২২ টি আসন ছিল তৃণমূলের হাতে। যদিও তা ছিল শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ থেকেই


শর্ত ২: পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৪-এর বেশি আসন রয়েছে তৃণমূলের হাতে। ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে মেঘালয় থেকে তৃণমূলের ঝুলিতে এসেছে প্রায় ১৪ শতাংশ ভোট আর ত্রিপুরায় পাওয়া ভোট শতাংশ ১-এরও কম (০.৮৮ শতাংশ)। আর ২০২২ সালে গোয়ায় তৃণমূলের ভোট শতাংশ ছিল ৫.২১ শতাংশ, অর্থাৎ ৬ শতাংশে কিছুটা কম। জাতীয় দলের তকমা পাওয়ার মতো ভোট শতাংশ আসেনি তৃণমূলের হাতে।


শর্ত ৩: রাজ্য দলের তকমা তখনই দেওয়া হয়, যদি সেই দল সংশ্লিষ্ট রাজ্যে অন্তত ২টি বিধানসভা আসন পায় ও কমপক্ষে ৬ শতাংশ ভোট পায়। তৃণমূল বাংলার বাইরে শুধুমাত্র মেঘালয়েই ৫ টি আসন পেয়েছে। তাই এই শর্ত পূরণ করতে পারল না তৃণমূল।


আরও পড়ুন: চিনের হুঁশিয়ারির পরে পাল্টা হুঙ্কার! 'আমাদের এক ইঞ্চি জমিও দখল করতে পারবে না কেউ!' LAC-র দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা অমিত শাহের

২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর জাতীয় দল হিসেবে তৃণমূলকে স্বীকৃতি দেয় নির্বাচন কমিশন। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে এই তকমা দেওয়া হয়েছিল। ওই বছর ৫ টি রাজ্যে ৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল ঘাসফুল শিবির। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও মণিপুর, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড ও অসমেও ভোটে লড়েছিল দল। সেবার পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৪ টি পেয়েছিল তৃণমূল। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের সেই তকমা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল।


জাতীয় দল হওয়ার সুবিধা কী কী?১. দলের জন্য একটি প্রতীক রিজার্ভ করা বা নির্দিষ্ট করা থাকে। অন্যথায় প্রতীক ‘ফ্রি’ হিসেবে গণ্য হবে।


২. সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার পরিচালিত টেলিভিশন বা রেডিওতে সম্প্রচারের জন্য নির্দিষ্ট সময় পেতে পারে ওই দল।


৩. নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা বা নির্বাচনী বিধি তৈরির ক্ষেত্রে মতামত দিতে পারে জাতীয় দলগুলি। অন্য দলের কাছে সেই সুযোগ থাকে না

No comments

আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!

Latest Articles