করোনার (Corona Virus) পর আরও এক ভাইরাস ক্রমেই বাড়াচ্ছে আতঙ্ক। অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে গোটা দেশে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। শিশু...
করোনার (Corona Virus) পর আরও এক ভাইরাস ক্রমেই বাড়াচ্ছে আতঙ্ক। অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে গোটা দেশে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। শিশুদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা সবথেকে বেশি। এমনকী অনেক শিশুই এই ভাইরাসের কবলে প্রাণ হারিয়েছে। অ্যাডিনো আতঙ্কের মধ্যেই রাজ্যেও জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে একের পর সরকারি হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে। এই অবস্থায় চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্ট্রিক ডিজিসেস (National Institute of Cholera and Enteric Diseases) বা নাইসেড (NICED)।
কী বলল জানাল নাইসেড?
নাইসেডের ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় বাংলায় অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ সবথেকে বেশি। নাইসেডের সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলায় অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্তের হার প্রায় ৩৮ শতাংশ। অ্যাডিনোভাইরাস কবলিত দেশের প্রথম পাঁচটি রাজ্য হলো পশ্চিমবঙ্গ (৩৮%), তামিলনাড়ু (১৯%), কেরালা (১৩%), দিল্লি (১১%) ও মহারাষ্ট্র (৫%)।
নাইসেডের ডিরেক্টর শান্তা দত্ত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলায় অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় অনেক বেশি। তিনি জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে ৯ মার্চ অবধি রাজ্যে ৩৮ শতাংশ অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে একের পর শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ICMR-র ল্যাবগুলিতে করা সমীক্ষা থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে।
কী কী করণীয় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত?
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে শিশুদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে অ্যাডভাইজারি প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার যাবতীয় পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে শিশুদের মধ্যে এই জাতীয় সংক্রমণ রুখতে কী করণীয় আর কী নয়, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, উপসর্গ থাকলে সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোওয়া প্রয়োজন। এর পাশাপাশি ভিড় এলাকায় মাস্ক পরার কথা বলা হয়েছে। এমনকী হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢাকতে বলা হয়েছে। জ্বর ও গায়ে হাতপায়ে ব্যাথা হলে প্যারাসিটামল খেতে হবে। অ্যাডভাইজারিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, জনসমক্ষে থুতু ফেলা যাবে না। এই সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না। একসঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!