গত ২৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম-পটিয়া উপজেলার নার্সিং কলেজে পড়ুয়া ছাত্রী পূরবী দে কে অপহরণের চেষ্টা করে, অপহরণ কারীদের হাত থেকে ব...
গত ২৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম-পটিয়া উপজেলার নার্সিং কলেজে পড়ুয়া ছাত্রী পূরবী দে কে অপহরণের চেষ্টা করে, অপহরণ কারীদের হাত থেকে বাঁচতে তাদের চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে আহত হয় পূরবী দে।
জানা যায়
শনিবার দুপুরে পূরবী দে (১৯) নামের এক নার্সিং কলেজে পড়ুয়া ছাত্রী চট্টগ্রাম শহর থেকে তার নিজ বাড়ি পটিয়া উপজেলার কেলিশহর গ্রামে আসার জন্য বাস করে শান্তিরহাট পর্যন্ত আসে। ঐখান থেকে পটিয়া ডাকবাংলো মোড়ে আসার জন্য চার চাকার রেগুনাতে উঠে। ডাকবাংলো মোড়ে এসে গাড়িটি পৌঁছালে গাড়িটি সেখানে না থেমে বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে ডাকবাংলো মোড় ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় কলেজ ছাত্রী পূরবী বারবার গাড়ি চালককে গাড়ি থামানোর জন্য বললেও গাড়ি না থামিয়ে বাসষ্টেশন দিকে চলে যায়। সে গাড়ি চালকের অস্বাভাবিক গতিবিধি দেখে চিৎকার করতে লাগে। এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে অপহরণ থেকে সে নিজেকে বাঁচিয়ে ফিরে। তবে সে গুরতর আহত হয়। স্থানীয় হাবিবুর রহমান রিপন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তার অবস্থা গুরতর হওয়ায় পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কত্যর্বরত ডাক্তার রহিমা খাতুন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেকে) প্রেরণ করেন।
পূরবীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন-
শান্তিরহাঠ থেকে আমি পটিয়ার উদ্দেশ্যে রেগুনাতে উঠি। গাড়িটিতে কয়েকজন যাত্রী থাকলেও আমজুর হাঠ আসার আগেই তারা নেমে যায়। আমি একা হয়ে গেলে গাড়ির চালক ও হেলফার নিজেদের মধ্যে কি যেন ফন্দি বুনছিল। আমি তাদেরকে ডাক বাংলোমোড় নামব আগে থেকে বলি। ডাকবাংলো মোড় ক্রস করে যখন গাড়িটি চলে যাচ্ছিল, আমি তাদেরকে চিৎকার দিয়ে বলি নামিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা গাড়ি না থামিয়ে দ্রুতগতিতে সামনের দিকে চলে য়ায়। আমি নিজেকে এদের হাত থেকে রক্ষার জন্য গাড়ি থেকে লাফ দিই।
এই বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান- এই ঘটনায় থানায় ডায়েরী হয়েছে।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!