গত ১৮ মার্চ শনিবার রাত ১ টার দিকে রাজশাহী-তানোর উপজেলার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জাম মিয়া তানোর উপজেলার কামারগাঁ বাজারে সর্বজনীন দূর্গ...
গত ১৮ মার্চ শনিবার রাত ১ টার দিকে রাজশাহী-তানোর উপজেলার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জাম মিয়া তানোর উপজেলার কামারগাঁ বাজারে সর্বজনীন দূর্গা মন্দির-গোবিন্দ মন্দিরের ডেকোরেশন ও মেলার দোকান ভাংচুর করে।
২০ মার্চ সোমবার দুপুরে কামারগাঁ সর্বজনীন গোবিন্দ মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জর কুমার দাস বাদি হয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে-
রাজশাহী-তানোর উপজেলার কামারগাঁ সর্বজনীন গোবিন্দ মন্দিরে বহু বছর ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হরিবাশর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবার ও হিন্দু সম্প্রদয়ের লোকজন ১৬ প্রহর ব্যাপি হরিবাশরের আয়োজন করেন।
এ উপক্ষে ঐতিহ্যবাহী বার্ণির গঙ্গাস্নান যাত্রা, পূজা ও মেলা আয়োজন করা হয়। গত ১৮ মার্চ রাত এক টার দিকে তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জাম মিয়াসহ তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কামারগাঁ সর্বজনীন গোবিন্দ মন্দিরে উপস্থিত হয়ে গোবিন্দ মন্দিরের ডেকোরেশন ও মেলার দোকান ভাংচুর করেন। এসময় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাধা দিতে গেলে ওসি তাদের উপর চওড়া হন।
নিরুপাই হয়ে মন্দির কমিটির লোকজন জেলা পুলিশের এসপিকে বিষয়টি অবগত করেন। ১৯ মার্চ সকালে ওসি পূর্নরায় কামারগাঁ গেলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তোপের মুখে পড়েন। সার ব্যবসায়ী বিকাশ ও গোবিন্দ মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জর কুমার দাস স্থানীয় লোকজনদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে ওসি ঘটনাস্থল থেকে গাড়িতে চড়ে চলে যান। পরে রাজশাহী জেলার সহকারী পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ঘটনা স্থলে এসে মন্দির কমিটির সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এবং হিন্দু সম্প্রদয়ের ১৬ প্রহর ব্যাপি হরিবাশর মেলা সুষ্ঠ ভাবে পরিচালিত হয় সে দিকে পুলিশি লক্ষ রেখে সকল ব্যবস্থ্যা করার কথা দেন।
সহকারী পুলিশ সুপারের কথায় ১৬ প্রহর ব্যাপি হরিবাশর চালু হয়। সকলের উপস্থিতিতে ওসি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান।
তানোর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন-
কামারগাঁ সর্বজনীন গোবিন্দ মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জর কুমার দাস বাদি হয়ে তানোর থানা ওসি’র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছেন। কামারগাঁ সর্বজনীন গোবিন্দ মন্দিরে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি কাম্যনয়।
কামারগাঁ সর্বজনীন গোবিন্দ মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জর কুমার দাস বলেন-
ওসি’র কর্মকান্ডের কারণে আমাদের দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ওসির ভয়ে রয়েছে।
তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জাম মিয়ার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন-
আমি কোন মন্দিরের ডেকোরেশন ভাংচুর করিনি।#SaveHindus
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!