অনেকেই জানেন না, মৃগী রোগ একটি অসংক্রামক দীর্ঘস্থায়ী মস্তিষ্কের রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৬৫ মিলিয়ন মানুষ ম...
অনেকেই জানেন না, মৃগী রোগ একটি অসংক্রামক দীর্ঘস্থায়ী মস্তিষ্কের রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৬৫ মিলিয়ন মানুষ মৃগীরোগে ভুগছেন। মৃগীরোগে আক্রান্তদের হঠাত্ খিঁচুনি হয়। খিঁচুনি হলো মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক ও অত্যধিক বৈদ্যুতিক ক্রিয়াকলাপের আকস্মিক বৃদ্ধি, যা একজন ব্যক্তির উপস্থিতি বা আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে।খিঁচুনি ধরনের উপর নির্ভর করে একজন ব্যক্তির উপসর্গ পরিবর্তিত হতে পারে। বারবার খিঁচুনি মৃগী রোগের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ। এর ফলে অনেকে চেতনা হারান, পেশির অনিয়ন্ত্রিত গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়, যোগাযোগ ও বোঝার সমস্যা হয়, ভয় ও উদ্বেগ কাজ করে, শ্বাসকষ্ট হয়, হঠাত্ হাত কাঁপা শুরু করে, হাত থেকে জিনিস পড়ে যেতে পারে, একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ইত্যাদি লক্ষণগুলি ফুটে উঠবে।আর এমন কোনও মৃগী রোগীকে দেখলে তাত্ক্ষণিক সাহায্য করবেন। যদি কেউ খিঁচুনিতে ভোগেন তাহলে কিছু পদক্ষেপ নিলে যে কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা এড়ানো যায়।
প্রথমে দেখবেন, আক্রান্ত ব্যক্তি যেন স্বাধীনভাবে শ্বাস নিতে পারে। মুখ উপরের দিকে উঠিয়ে রাখলে তা নামিয়ে দিন, তাহলে শ্বাস নিতে সুবিধা হবে। আক্রান্তের মুখে জল, ওষুধ বা কোনো খাবার দেবেন না। প্রতিক্রিয়াহীন এ সময় খাবার গলায় আটকে তার দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ব্যক্তির ঝাঁকুনিপূর্ণ গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করার চেষ্টা করবেন না। একটি নরম তোয়ালে মাথার নিচে রাখতে হবে যাতে তারা দ্রুত অনৈচ্ছিক নড়াচড়ার সময় নিজেদের ক্ষতি না করে। গুরুতর সমস্যা দেখলে দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!