আ পনজন ডেস্ক: সর্দি থেকে শুরু করে ধুলাবালি বা অ্যালার্জির কারণেই মূলত হাঁচি বেশি হয়। বিশেষ করে অ্যালার্জিতে যারা ভোগেন, তারা নির্দিষ্ট কো...
আপনজন ডেস্ক: সর্দি থেকে শুরু করে ধুলাবালি বা অ্যালার্জির কারণেই মূলত হাঁচি বেশি হয়। বিশেষ করে অ্যালার্জিতে যারা ভোগেন, তারা নির্দিষ্ট কোনো অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে এলেই একনাগাড়ে হাঁচি হতে থাকে। একের পর এক হাঁচি দিতে গিয়ে এ কারণে অনেকে অসুস্থও হয়ে পড়েন।তবে এমনটি কেন হয়? হাঁচি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা নাকের প্রদাহ বা জ্বালা দূর করতে সহায়তা করে। যখনই বাতাসের সঙ্গে মিশে থাকা পদার্থ যেমন- ময়লা, পরাগ, ধোঁয়া বা ধুলাবালি নাকে প্রবেশ করে তখনই নাকের সংবেদনশীল আস্তরণে অস্বস্তি বা সুড়সুড়ি শুরু হয়। আর এ কারণে হাঁচির সৃষ্টি হয়।
হাঁচি হলে নাসারন্ধ্র পরিষ্কার হয়। নাক দিয়ে ক্ষতিকর জীবাণু বা পদার্থ ঢুকলেই শরীরের প্রাথমিক প্রতিরক্ষা হিসেবে হাঁচি হয়। ফলে ক্ষতিকর ওই পদার্থ নাক থেকে বেরিয়ে আসে। যদিও এমন ক্ষেত্রে হাঁচি ২-৩ বার হয়ে বন্ধ হয়ে থায়।
তবে কারো কারো ক্ষেত্রে লাগাতার হাঁচি হয়ে থাকে, যার ফলে তারা নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট পান। প্রথমে বুঝতে হবে কোন সময় আপনার হাঁচি বেশি হয়। যেমন- ময়লা, ধুলা-বালি, ফুলের পরাগ, পোষা প্রাণীকে স্পর্শ করলে, উজ্জ্বল আলো, সুগন্ধি, মশলাদার খাবার, কালো মরিচ কিংবা সাধারণ সর্দিতে। এসব কারণে যদি আপনার ক্রমাগত হাঁচি হয় ও না থামে তাহলে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করুন।
তাহলে খুব দ্রুত হাঁচি থামাতে পারবেন।মধু সর্দি ও ফ্লুর কারণে হওয়া হাঁচি প্রতিরোধে সহায়তা করে। এমনকি অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রেও মধু একটি আদর্শ বিকল্প। এর কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই। মধু শরীরে উপস্থিত অ্যালার্জেনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
তাই হাঁচি হওয়ার সময় এক চা চামচ মধু খেলে আপনি তাত্ক্ষণিক আরাম বোধ করবেন। হাঁচির সময় আলোর দিকে তাকাবেন না। হঠাত্ উজ্জ্বল আলোর সংস্পর্শে আসলে অনেকেরই হাঁচি হতে পারে। সূর্যের আলোতেই বেশিরভাগ সময় এমনটি হয়।
প্রায় এক তৃতীয়াংশ লোক এ ধরনের অ্যালার্জিতে ভুগে থাকেন। এজন্য সরাসরি কখনো আলোর দিকে তাকাবেন না। বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা ও পোলারাইজড সানগ্লাস ব্যবহার করুন। হাঁচি থেকে বাঁচতে ভিটামিন সি গ্রহণ করুন।
একনাগাড়ে হাঁচি হলে ভিটামিন সি'জাতীয় খাবার বা এর গন্ধ নাকে নেওয়ার চেষ্টা করুন। এজন্য কমলা কিংবা লেবু জাতীয় কিছু ফল নিন। এতে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। চাইলে হাঁচির সময় একটি আমলকি খেলেও স্বস্তি মিলবে। এর পরেও হাঁচি বন্ধ না হলে সেক্ষেত্রে চিকিত্সকের কাছে যান।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!