হু টহাট হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে মানুষ। একটা সময় বেশি বয়সে গিয়ে এমনটা হলেও এখন অল্প বয়সীরাই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিত্সক...
হুটহাট হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে মানুষ। একটা সময় বেশি বয়সে গিয়ে এমনটা হলেও এখন অল্প বয়সীরাই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিত্সকদের মতে, উপমহাদেশে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার গড় বয়স কমেছে ১০ থেকে ১৫ বছর।তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতিতে জীবন যত উন্নত হচ্ছে- মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অবসাদ, দুশ্চিন্তা, সেই সঙ্গে অতিরিক্ত প্রত্যাশা সবই বাড়ছে।
দ্রুত জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিমও খেতে হচ্ছে।
জীবনযাপনে এমন কিছু পরিবর্তন চলে আসছে, যার ফলে অল্প বয়সেই হৃদ্রোগের মতো ঝুঁকিতে পড়তে মানুষকে।
তবে মাত্র কয়েকটি অভ্যাসই পারে হৃদরোগসহ নানা শারীরিক জটিলতা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে। সেই সঙ্গে পাবেন উদ্যমতা, বাড়বে প্রফুল্লতা।
তাড়াতাড়ি ঘুমানো, সকালে জেগে ওঠা
রাতে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা টানা গভীর ঘুম দরকার শরীরের। রাতে যত তাড়াতাড়ি শোবেন, ঘুম তত গভীর হবে। সকালে অনেকক্ষণ বিছানায় গড়াগড়ি করলেও ঘুম কিন্তু পাতলা হয়। তবে যাদের কাজের জন্য রাত জাগতে হয়, তারা নিজেদের সুবিধা মতো রুটিন তৈরি করে নিন। খাওয়ার পর অন্তত দু'ঘণ্টা জেগে থাকুন।
সকাল-সন্ধ্যা হাঁটা
সবার হাঁটার ক্ষমতা সমান নয়। তবে যারা গাড়িতে যাতায়াত করেন, তারা সকাল সন্ধ্যা আধ ঘণ্টা করে অবশ্যই হাঁটুন। টানা বসে থাকা কাজ যাদের, ৪৫ মিনিট অন্তর বিরতি নিয়ে মিনিট পাঁচেকের জন্য হেঁটে নিন। অফিস কিংবা বাড়িতে লিফট ব্যবহার কমিয়ে দিতে পারেন, সিঁড়ির ব্যবহার বাড়িয়ে দিতে পারেন।
সকালে ভারী-রাতে হালকা খাবার
সকালে ভারী খাবার খান। দিন যত গড়াবে, হালকা খাবার খান। রাতের খাবার হালকা করুন। সপ্তাহের ডায়েট চার্ট তৈরি করে রাখবেন। সারা সপ্তাহে প্রোটিন, চর্বি, কার্বোহাইড্রেট পর্যাপ্ত পরিমাণে খাচ্ছেন কি না, খেয়াল রাখুন। অল্প পরিমাণে খেলেও দিনে অন্তত পাঁচবার খাবার খান। এতে হজমশক্তি বাড়ে।
ভাজাপোড়া খাবার কম খাওয়া
তৈলাক্ত খাবার কম খান। যতটা পারবেন সতেজ শাক সবজি, মৌসুমি ফল খান। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার জল খান। রেস্টুরেন্টে খেতে হলে মাসের বাজেট ঠিক করে নিন। মাসে দু'দিনের বেশি বাইরে খাওয়া এড়িয়ে যান।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!