Page Nav

HIDE
ads banner

Breaking News:

latest

Top Ads

লাশটি চিতায় পোড়ানো হবে নাকি কবরে যাবে?

 পটিয়া-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মনসা বাদামতল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া (রতন দাশ) নামের ২৯ বছর বয়সী যুবকের মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিক্য...

পটিয়া-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মনসা বাদামতল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া (রতন দাশ) নামের ২৯ বছর বয়সী যুবকের মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে পড়ে আছে প্রায় তিন মাস ধরে। হিন্দু নাকি মুসলিম এই পরিচয়ের বেড়াজালে আটকে থাকা লাশটির ধর্ম পরিচয় নিশ্চিত করে ২০ এপ্রিলের মধ্যে পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে এই দিন ছুটি থাকার কারণে সেদিন আদালত বন্ধ থাকায় আজ সোমবার (২৪ এপ্রিল) উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বিশ্বেস্বর সিংহ আদেশ শুনানির দিন ধার্য করেন। আজ জানা যাবে নিহত যুবকের লাশটি কি কবরে সমাহিত হবে নাকি চিতায় পোড়ানো হবে।       এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মার্চের ১৩ তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক বিশ্বেশ্বর সিংহ। কিন্তু ১৩ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি হাইওয়ে থানা পুলিশ। সেদিন তারা আবারও অধিকতর তদন্তের জন্য সময়ের আবেদন করে আদালতে একটি চিঠি দিয়েছেন। পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গত ২০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির এ নির্দেশ দেন।    গত ২৯ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে পটিয়া উপজেলার মনসা বাদামতল এলাকায় তেলবাহী লরির চাপায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী ওই যুবকের মৃত্যু হয়।    এদিকে, নিহত যুবকের মা সন্ধ্যারানী দাশ শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলেন রতন দাশ হিন্দু ছিলেন। তাই হিন্দু ধর্মের নিয়ম মেনে শেষকৃত্য চিতায় সম্পন্ন করতে চান।    কিন্তু তার সহপাঠীদের দাবি, তিনি ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকার একটি মাদ্রাসায় মাওলানা হারুন এজাহারের কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এরপর থেকে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন ও ইসলাম ধর্মের সব নিয়ম-কানুন মেনে চলতেন। তাই তারা মুসলিম হিসেবে তার লাশ দাফন করতে আগ্রহী। এ জন্য তারা সব ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে হাইওয়ে থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাফেজ ক্বারী আকরাম হোসাইন।    জানা যায়, নিহত যুবক তার মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় মুসলিম হওয়ার পরও তার মাকে নিয়ে নগরীর একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। আগ্রাবাদ এলাকায় একটি মোবাইল এক্সোসরিস প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করতেন। আর তার মৃত্যুর পরেই এখানে বাধে বিপত্তি। তার মৃত্যুর প্রায় তিন মাসেও এখনো আদালতের রায়ের অপেক্ষায় নিহত যুবকের পরিবার ও সহপাঠীরা।    এ দিকে হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই যুবকের নাম রতন দাশ (২৯)। বাড়ি মিরসরাই উপজেলার পূর্ব মায়ানী গ্রামে। তার বাবার নাম মনোরঞ্জন দাশ ও মায়ের নাম সন্ধ্যা রানী দাশ। নিহত যুবক দুই বছর আগে মুসলিম হিসেবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নাম পরিবর্তন করে আহমাদ নাম হয়েছেন। যার নোটারী নম্বর-১১০৫৪৪। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার বেশ কিছু ছবিও রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে পরিবার ও তার সহপাঠীদের মধ্যে বিপত্তি ঘটলে উভয়পক্ষ আর হাইওয়ে পুলিশ আদালতের দ্বারস্থ হন।    নিহত যুবকের সহপাঠী সিরাজুল মাওলা মিলাদ গণমাধ্যমকে বলেন, সে মনে প্রাণে ইসলাম ধর্ম মেনে মুসলিম হয়েছে। আমরা সহপাঠীরা তার মৃত্যুর পর সে যে মুসলিম হয়েছে তার সব ধরনের কাগজপত্র সংগ্রহ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। আমরা মনে করেছিলাম গত ১৩ মার্চ আদালতের দেওয়া সময়ের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবেন। কিন্তু সেদিন আমরা পটিয়া আদালতে এসে জানতে পারি পুলিশ সময় আবেদন করে আরো সময় চেয়েছেন। আজ সোমবার বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শুনানি হবে আদালতে। আমরা সহপাঠীরা আশা করছি সব তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলাটি নিষ্পত্তি করে যেন আমরা আমাদের বন্ধুকে কবরস্থ করতে পারি।    নিহতের মা সন্ধ্যা রাণী দাশ বলেন, আমি ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে অধিক শোকে পাথর হয়ে গেছি। পুলিশকে ফোন করলে তারা আমাকে বলেন কিছু হলে আমাকে তারা জানাবেন। এখন সবকিছু তো সরকার আর আদালতের জিম্মায় চলে গেছে। আমি আর কী করব। আদালত যা সিদ্ধান্ত দেবে তাই হবে আরকি। আজ আমি মহামান্য আদালতের কাছে আশা করছি, আমার ছেলের লাশ আমার কাছেই ফিরিয়ে দেবেন এমনটাই বিশ্বাস তার।    হাইওয়ে থানার ওসি স্নেহাংশু বিকাশ সরকার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির তদন্ত শেষে আমরা গত ২৮ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা নিহতের ধর্মীয় পরিচয় নিশ্চিত করতে তার গ্রামের বাড়ি ও শহরে যে এলাকায় অবস্থান করতেন সেখানে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে নানা তথ্য উপাত্ত জানার চেষ্টা করছেন। এখন আদালত সিদ্ধান্ত দেবে লাশটি কী কবরস্থানে যাবে নাকি চিতায় যাবে।    মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক রুহুল আমিন বলেন, মামলাটির দায়িত্ব ভার হাতে নিয়েছি আমি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। এরপর যেখানে যেখানে যাওয়া লাগছে সেখানে গিয়ে আমি বুঝতে পেরেছি হিন্দু ও মুসলিম দুই পক্ষই লাশটি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় আছেন। পরবর্তীতে আমি সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য আরো সময়ের প্রয়োজন মনে করে ১৩ মার্চ আদালতে সময়ের আবেদন করেছি। আদালত আমাদের আবেদনটি মঞ্জুর করে ২০ এপ্রিল নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই গত ২৮ মার্চ আমি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছি।    অপরদিকে, সড়ক আইনে নিহত যুবকের মা সন্ধ্যা রানী দাশের দায়ের করা মামলাটি প্রধান আসামি ঘাতক ট্রাকচালক শাহাদাত হোসেন সিকদার প্রকাশ বাবুল ড্রাইভার (৪২) গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সে সাতকানিয়া উপজেলার পুরান নগর এলাকার আবুল হোসেন সিকদারের ছেলে। এখনো সে কারাগারে আছে এবং তেলবাহী গাড়িটি ও আটক আছে পটিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে।  info:news24bd

 পটিয়া-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মনসা বাদামতল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া (রতন দাশ) নামের ২৯ বছর বয়সী যুবকের মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে পড়ে আছে প্রায় তিন মাস ধরে। হিন্দু নাকি মুসলিম এই পরিচয়ের বেড়াজালে আটকে থাকা লাশটির ধর্ম পরিচয় নিশ্চিত করে ২০ এপ্রিলের মধ্যে পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে এই দিন ছুটি থাকার কারণে সেদিন আদালত বন্ধ থাকায় আজ সোমবার (২৪ এপ্রিল) উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বিশ্বেস্বর সিংহ আদেশ শুনানির দিন ধার্য করেন। আজ জানা যাবে নিহত যুবকের লাশটি কি কবরে সমাহিত হবে নাকি চিতায় পোড়ানো হবে।


 

এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি পটিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মার্চের ১৩ তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক বিশ্বেশ্বর সিংহ। কিন্তু ১৩ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি হাইওয়ে থানা পুলিশ। সেদিন তারা আবারও অধিকতর তদন্তের জন্য সময়ের আবেদন করে আদালতে একটি চিঠি দিয়েছেন। পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গত ২০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির এ নির্দেশ দেন।


গত ২৯ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে পটিয়া উপজেলার মনসা বাদামতল এলাকায় তেলবাহী লরির চাপায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী ওই যুবকের মৃত্যু হয়।


এদিকে, নিহত যুবকের মা সন্ধ্যারানী দাশ শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলেন রতন দাশ হিন্দু ছিলেন। তাই হিন্দু ধর্মের নিয়ম মেনে শেষকৃত্য চিতায় সম্পন্ন করতে চান।


কিন্তু তার সহপাঠীদের দাবি, তিনি ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকার একটি মাদ্রাসায় মাওলানা হারুন এজাহারের কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এরপর থেকে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন ও ইসলাম ধর্মের সব নিয়ম-কানুন মেনে চলতেন। তাই তারা মুসলিম হিসেবে তার লাশ দাফন করতে আগ্রহী। এ জন্য তারা সব ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে হাইওয়ে থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাফেজ ক্বারী আকরাম হোসাইন।


জানা যায়, নিহত যুবক তার মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় মুসলিম হওয়ার পরও তার মাকে নিয়ে নগরীর একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। আগ্রাবাদ এলাকায় একটি মোবাইল এক্সোসরিস প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করতেন। আর তার মৃত্যুর পরেই এখানে বাধে বিপত্তি। তার মৃত্যুর প্রায় তিন মাসেও এখনো আদালতের রায়ের অপেক্ষায় নিহত যুবকের পরিবার ও সহপাঠীরা।


এ দিকে হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই যুবকের নাম রতন দাশ (২৯)। বাড়ি মিরসরাই উপজেলার পূর্ব মায়ানী গ্রামে। তার বাবার নাম মনোরঞ্জন দাশ ও মায়ের নাম সন্ধ্যা রানী দাশ। নিহত যুবক দুই বছর আগে মুসলিম হিসেবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নাম পরিবর্তন করে আহমাদ নাম হয়েছেন। যার নোটারী নম্বর-১১০৫৪৪। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার বেশ কিছু ছবিও রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে পরিবার ও তার সহপাঠীদের মধ্যে বিপত্তি ঘটলে উভয়পক্ষ আর হাইওয়ে পুলিশ আদালতের দ্বারস্থ হন।


নিহত যুবকের সহপাঠী সিরাজুল মাওলা মিলাদ গণমাধ্যমকে বলেন, সে মনে প্রাণে ইসলাম ধর্ম মেনে মুসলিম হয়েছে। আমরা সহপাঠীরা তার মৃত্যুর পর সে যে মুসলিম হয়েছে তার সব ধরনের কাগজপত্র সংগ্রহ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। আমরা মনে করেছিলাম গত ১৩ মার্চ আদালতের দেওয়া সময়ের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেবেন। কিন্তু সেদিন আমরা পটিয়া আদালতে এসে জানতে পারি পুলিশ সময় আবেদন করে আরো সময় চেয়েছেন। আজ সোমবার বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শুনানি হবে আদালতে। আমরা সহপাঠীরা আশা করছি সব তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলাটি নিষ্পত্তি করে যেন আমরা আমাদের বন্ধুকে কবরস্থ করতে পারি।


নিহতের মা সন্ধ্যা রাণী দাশ বলেন, আমি ছেলের জন্য কাঁদতে কাঁদতে অধিক শোকে পাথর হয়ে গেছি। পুলিশকে ফোন করলে তারা আমাকে বলেন কিছু হলে আমাকে তারা জানাবেন। এখন সবকিছু তো সরকার আর আদালতের জিম্মায় চলে গেছে। আমি আর কী করব। আদালত যা সিদ্ধান্ত দেবে তাই হবে আরকি। আজ আমি মহামান্য আদালতের কাছে আশা করছি, আমার ছেলের লাশ আমার কাছেই ফিরিয়ে দেবেন এমনটাই বিশ্বাস তার।


হাইওয়ে থানার ওসি স্নেহাংশু বিকাশ সরকার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির তদন্ত শেষে আমরা গত ২৮ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা নিহতের ধর্মীয় পরিচয় নিশ্চিত করতে তার গ্রামের বাড়ি ও শহরে যে এলাকায় অবস্থান করতেন সেখানে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে নানা তথ্য উপাত্ত জানার চেষ্টা করছেন। এখন আদালত সিদ্ধান্ত দেবে লাশটি কী কবরস্থানে যাবে নাকি চিতায় যাবে।


মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক রুহুল আমিন বলেন, মামলাটির দায়িত্ব ভার হাতে নিয়েছি আমি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। এরপর যেখানে যেখানে যাওয়া লাগছে সেখানে গিয়ে আমি বুঝতে পেরেছি হিন্দু ও মুসলিম দুই পক্ষই লাশটি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় আছেন। পরবর্তীতে আমি সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য আরো সময়ের প্রয়োজন মনে করে ১৩ মার্চ আদালতে সময়ের আবেদন করেছি। আদালত আমাদের আবেদনটি মঞ্জুর করে ২০ এপ্রিল নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই গত ২৮ মার্চ আমি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছি।


অপরদিকে, সড়ক আইনে নিহত যুবকের মা সন্ধ্যা রানী দাশের দায়ের করা মামলাটি প্রধান আসামি ঘাতক ট্রাকচালক শাহাদাত হোসেন সিকদার প্রকাশ বাবুল ড্রাইভার (৪২) গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সে সাতকানিয়া উপজেলার পুরান নগর এলাকার আবুল হোসেন সিকদারের ছেলে। এখনো সে কারাগারে আছে এবং তেলবাহী গাড়িটি ও আটক আছে পটিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে।

info:news24bd

No comments

আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!

Latest Articles