ঢাকা: পয়লা বৈশাখে বাংলাদেশের ঐতিহ্যমণ্ডিত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ এবার নাও দেখা যেতে পারে। এই যাত্রা বন্ধের জন্য দেওয়া হয়েছে আইনি নোটিস। বাংলাদে...
ঢাকা: পয়লা বৈশাখে বাংলাদেশের ঐতিহ্যমণ্ডিত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ এবার নাও দেখা যেতে পারে। এই যাত্রা বন্ধের জন্য দেওয়া হয়েছে আইনি নোটিস। বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিব, ধর্ম মন্ত্রকের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব, ঢাকার জেলা শাসক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিনকে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
রবিবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিসটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান। তা পাওয়ার পর অবিলম্বে এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাই কোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনি নোটিসে বলা হয়েছে, ‘পয়লা বৈশাখ’ বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হাজার বছর ধরে, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী বাঙালি জনগণ একে অপরের ধর্মকে সম্মান করে এই পয়লা বৈশাখ (Poila Baishakh) উদযাপন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে একটি কৃত্রিম কার্যকলাপ বাঙালি সংস্কৃতি পয়লা বৈশাখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত, এই কৃত্রিম উদ্ভাবিত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র সাথে পয়লা বৈশাখের কোন সম্পর্ক নেই।
ওই নোটিসে আরও বলা হয়েছে, উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, ১৯৮৯ সালে পয়লা বৈশাখে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে এক ধরনের পদযাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে এই ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’কে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ হিসেবে নামকরণ করা হয়। নোটিসে বলা হয়, ‘মঙ্গল’ শব্দটি একটি সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় শব্দ। সকল ধর্মের লোকজন তাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে ‘মঙ্গল’ প্রার্থনা করে থাকেন। এখন এই মঙ্গল শোভাযাত্রার সাথে বিভিন্ন ধরনের দৈত্য আকৃতির পাখি, মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর ভাস্কর্য প্রদর্শনের মাধ্যমে মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে। যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২ক-এর সরাসরি লঙ্ঘন এবং দণ্ডবিধির ২৯৫-ক ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
তথ্য সূত্র:sangbadpratidin
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!