সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন হাছন নগর এলাকায় নিরীহ সংখ্যালঘু ৪ পরিবারের জায়গা নুর মিয়া গং ও মতিন মিয়া গংরা জোর পূর্বক দখলের পায়তারারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ২৪ মার্চ শুক্রবার বিকাল ৫টায় সুনামগঞ্জ পৌরবিপনী ২য় তলায় ভোক্তভোগী হিন্দু সম্প্রাদায়ের ৪ পরিবারের আয়োজনে সুনামগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্য উকিল বিশ্বাস ও অজিৎ বিশ্বাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্য রুপনা বিশ্বাস, কল্পনা বিশ্বাস, ববিতা বিশ্বাস, নবম শ্রেনীর ছাত্রী অপি বিশ্বাসসহ আর অনেকে। তারা বলেন-
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন হাছন নগর (সুলতানপুর) এলাকায় সংগ্রামের আগ মূহুর্ত থেকে তাদের পৈত্রিক রেকর্ডিও জায়গার উপর পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। যার ২৬২ খতিয়ানের ৯নং দাগে ১২ শতাংশ এবং একই খতিয়ানের ১০ নং দাগে ১১শতাংশ মোট ২৩ শতাংশ বাড়ী ও ডোবা রকম ভূমি তারমধ্যে ১০ নং দাগের ১১ শতাংশ থেকে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা মতিন মিয়া গংদের কাছে ৫ শতাংশ জায়গা বিক্রয় করা হয়।
অবশিষ্ট ১৮ শতাংশ জায়গার উপর ভোক্তভোগী ৪ হিন্দু পরিবার বসবাস করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। তাদের পাশ্ববর্তী নুর মিয়া গংরা এবং মতিন মিয়া গংদের মধ্যে এই ৪হিন্দু পরিবার বসবাস করেন। কয়েক বছর যাবৎ নুর মিয়া গং ও মতিন মিয়া গংরা মিলে তাদের জায়গা জোর পূর্বক ভাবে দখল করে নেওয়ার পায়তারা করছে এবং কিছুদিন পর পর এই ৪ পরিবারের লোকজনদের উপর হামলা করে।
এখন বেশ কয়েকদিন যাবৎ জোর পূর্বক ভাবে তাদের জায়গার উপর বাশেঁর খুটি দিয়ে আরের বেড়া দিয়ে নুর মিয়া ও মতিন মিয়া গংরা মিলে তাদের জায়গা দখল করে নেওয়ার পায়তারা করে মাটি বরাট করে চলেছে। এ ঘটনায় এলাকায় অনেক বার বিচার প্রার্থী হলেও নুর মিয়া গংদের আত্মীয় স্বজন বেশি হওয়া কোন বিচার না পেয়ে অবশেষে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে নুর মিয়া গংদের নিষেধ করে আসেন। যাতে জোরপূর্বক ভাবে তাদের জায়গা দখল করার চেষ্টা না করে।
কিন্তু কার্যকরী কোন পদক্ষেপ না থাকায় সপ্তাহ খানেক ধরে নুরমিয়া ও মতিন মিয়া গংরা মিলে তাদের জায়গা জোর পূর্বক দখল করে নেওয়ার জন্য মাটি বরাটের কাজ শুরু করেছে। এবং মামলা মোকাদ্দমা করলে বা কোথাও বিচার প্রার্থী হলে প্রকাশ্যে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে চলেছে। অবশেষে কোন বিচার না পেয়ে ন্যায় বিচারের জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা পেতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায় বিচারের দাবী জানান ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।