গত ২৭ মার্চ সোমবার রাতে শরীয়তপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নিরালা আবাসিক এলাকার বণিক বাড়ির শীতলা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে। ভাঙচুরের খবর...
গত ২৭ মার্চ সোমবার রাতে শরীয়তপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নিরালা আবাসিক এলাকার বণিক বাড়ির শীতলা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে।
ভাঙচুরের খবর পেয়ে-
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জ্যেতি বিকাশ চন্দ্র, পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর ব্যাপারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা বণিক বাড়িতে যান।
সকালে আমার মা মন্দিরে পূজা দিতে যান। দেখেন প্রতিমা বেদি থেকে নিচে পড়ে আছে। ভাঙচুর করা, মন্দিরের জিনিসপত্র তছনছ করা। তিনি চিৎকার করে আমাদের ডাকেন। ঘটনাটি নিয়ে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের বাড়িতে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। ওই ঘটনায় পালং মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হবে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের শরীয়তপুর জেলা কমিটির সভাপতি শংকর প্রসাদ চৌধুরী বলেন-
তিন-চার মাস আগে জেলা কেন্দ্রীয় মন্দির পালং হরিসভার দানবাক্স ভেঙে টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। সিসিটিভির ফুটেজ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। সম্প্রতি কোটাপাড়া পৌরশ্মশান ভেঙে লোহা চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত এক বছর তিন দফা চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বিলাশখান কালী মন্দিরে। সবগুলো ঘটনা শহরের। কোনও ঘটনারই সঠিক তদন্ত হয়নি। পুলিশ কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। হিন্দু জনবসতিপূর্ণ একটি এলাকায় পারিবারিক মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা শঙ্কিত।
ইউএনও জ্যেতি বিকাশ চন্দ্র বলেন-
প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। প্রয়োজনে গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তদন্ত করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ওসি আক্তার হোসেন বলেন-
ঘটনাটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের সঙ্গে কারা জড়িত অল্প সময়ের মধ্যে খুঁজে বের করা হবে। তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। গত এক বছরের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর তদন্ত চলছে।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!