নোয়াখালী-সেনবাগ উপজেলার কানকির হাট বড়ুয়া পাড়ার সংখ্যালঘু বৌদ্ধদের প্রায় ২শ বছরের চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মাণ করেছে প্...
নোয়াখালী-সেনবাগ উপজেলার কানকির হাট বড়ুয়া পাড়ার সংখ্যালঘু বৌদ্ধদের প্রায় ২শ বছরের চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মাণ করেছে প্রবাসী লোকমান হোসেন।
প্রায় ২শ সন্ত্রাসী দিয়ে সংখ্যালঘু বৌদ্ধদের চলাচলের ২শ বছরের পুরানো রাস্তাসহ পাশের খালি জায়গাটি দখল করে নেয় ভূমিদস্যুরা।
নোয়াখালীর সেনবাগের কানকির হাট বড়ুয়া পাড়ার সংখ্যালঘু বৌদ্ধদের প্রায় ২শ বছরের চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দোকান ঘর নির্মাণ করেছে প্রবাসী লোকমান হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি বন্ধ করার পায়তারা করলে স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করেই লোকমান হোসেনের নেতৃত্বে কতিপয় সন্ত্রাসীরা রাতের অন্ধকারে সংখ্যালঘু বড়ুয়াদের পিটিয়ে আহত করে এবং মহিলাদের জিম্মি করেই রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ৯৯৯ এ কল দিয়েও সুরাহা হয়নি বিষয়টি। পুলিশের দাবি রাস্তা বন্ধ থাকবে। রাস্তা খুলতে হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ প্রয়োজন।
পরে স্থানীয় বৌদ্ধরা মানবন্ধন, ইউএনও, ডিসি বরাবর অভিযোগ দেয়া হলেও কেউ এই অদ্যবদি রাস্তা খুলে দেয়ার জন্য কোন ব্যবস্থা নেন নি। উক্ত বড়ুয়া গ্রামের ৩৫টি পরিবারের স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও গ্রামের মহিলাদের জন্য চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মানুষের বাগান ও উঠোন দিয়ে প্রায় ২ কি.মি. রাস্তা ঘুরে তাদেরকে যেতে হচ্ছে।
উক্ত লোকমান হোসেন গং রাস্তার পরিবর্তে রাস্তার চেয়ে ৪ গুণ বেশি জায়গা দখল করে টিনশেড ঘর নির্মাণ করেছে। এবং পার্শ্ববর্তী খালি জায়গাটুকুও দখল করে নেয় এবং যদি কেউ উক্ত জায়গায় কেউ নামে তাহলে লাশ পড়বে বলেও হুমকি দিচ্ছে। রাস্তার আশেপাশে কাউকে দেখলে তাঁর বডি খুঁজে পাওয়া যাবে না বলেও হুমকি দিচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়-
প্রধান রাস্তার সম্মুখভাগের মাত্র ০.০২৫ শতাংশ জায়গা মাত্র ৩/৪ মাস আগে কৌশলে কিনে নেয়। পূর্ববর্তী মালিক ছোট্ট জায়গায় কিছু করতে না পেরে ফেলে রাখছিল। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সহিংসতা তৈরির লক্ষ্যে ও সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্য পরিত্যাক্ত একটুকরো জায়গা বিশাল অংকের দাম বসিয়ে বেশি টাকা আদায় করার নিমিত্তে গোপনে কিনে নেয়। এবং খতিয়ান করার আগে রাস্তা আছে কি নাই তা সার্ভে না করেই অর্থের বিনিময়ে রাতারাতি খতিয়ান করে রাস্তা বন্ধ করে দেয়।
এই নিয়ে কোন প্রকার শালিস কিংবা অভিযোগ না করেই গায়ের জোরে সাম্প্রদায়িক ইস্যু তৈরির লক্ষ্যে বিদ্যমান রাস্তা বন্ধ করে প্রতিদিন ২০০/২৫০ সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এতে ভীত সন্ত্রস্ত সংখ্যালঘু বড়ুয়ারা তাদের ২শ বছরের পথ ফিরে পাওয়াতো দূরে থাক এক অসহায় বড়ুয়া পরিবারের পৈত্রিক সম্পত্তিটুকুও ফিরে পাচ্ছেনা। তাই রাস্তা ফিরে পেতে ও অসহায় পরিবারের দখলকৃত জায়গা ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বড়ুয়া এলাকাবাসী।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!