Sugar and Diabetes: একটা রসগোল্লা খেলেই কি সুগার বেড়ে যাবে, ডায়াবেটিসের ভয়ে মিষ্টির লোভ ছাড়তেই হবে? জানুন

আমরা প্রায়শই একটা কথা শুনতে পাই, 'এত বেশি মিষ্টি খাস না, সুগার হয়ে যাবে।' মিষ্টির প্রতি ভালবাসা থাকলেও ডায়াবেটিসের ভয়ে এড়িয়ে যেতে হয় রসগোল্লা। ইচ্ছা থাকলেও সন্দেশ খাওয়ার জো নেই। ওই যে সুগার বেড়ে যাবে। যদিও যে হারে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে সেখানে এই সাবধানতা বজায় রাখা দরকার।  তাছাড়া চিনি শরীরের জন্য যে বিষ সেটা সকলেই জানেন। তবে, মিষ্টি জাতীয় খাবার না খেলেও দুধ চায়ে চিনি ছাড়া চলে না। কিন্তু চিনি খেলেই যে ডায়াবেটিস জাপটে ধরবে, এমন কি কোনও প্রমাণ রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক…  চিনিযুক্ত খাবার কখনওই স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত নয়। হয়তো আপনি সারাদিনে এক চামচ চিনি খান। কিন্তু প্রতিদিন এক চামচ চিনি খেতে খেতেই শরীরে মারণ রোগের জন্য বাসা তৈরি করে ফেলেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চিনি এবং চিনিযুক্ত খাবার খেলে ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধি পায়। তা-ই তো মিষ্টি স্বাদের জন্য মধুকে এত বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু চিনি খেলেই সুগার হবে, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। অনেক সময় চিনি না খাওয়া মানুষদের শরীরেও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দেয়।  ডায়াবেটিস হল এমন একটি রোগ যেখানে ইনসুলিন হরমোনের উত্‍পাদন কম হয়, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। ইনসুলিন হরমোন অগ্ন্যাশয় থেকে নির্গত হয়। এই হরমোন রক্তে সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ করে। যখনই এই হরমোনের উত্‍পাদন কমে যায়, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সুতরাং, আপনার যদি ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে, তাহলে চিনি খাওয়ার পরও ডায়াবেটিস নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। চিনি খেলে অবশ্যই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে। কিন্তু ইনসুলিন হরমোন ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে। তাই এতে খুব বেশি ভয় নেই। কিন্তু আপনার শরীরে যদি ইনসুলিন হরমোনের তারতম্য ঘটে তাহলে চিনি খেলে বিপদ। তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকবে এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন হরমোন কাজ করতে পারবে না।  ডায়াবেটিস যে শুধু চিনি যুক্ত খাবার খেলেই দেখা দেয়, তা কিন্তু নয়। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে শরীর নিজে থেকে ইনসুলিন হরমোন তৈরি করতে পারে না। সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে এই হরমোন শরীরে প্রবেশ করাতে হয়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস কারও হাতে নেই। কিন্তু টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের পিছনে দায়ী লাইফস্টাইল। শুধু চিনি নয়, যে কোনও অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়াই এই রোগের কারণ। তার সঙ্গে শরীরচর্চা অভাব, অনিদ্রা, মানসিক চাপের মতো সমস্যা রয়েছে। তাই শুধু মিষ্টি খাবার বন্ধ করে দিয়ে যে আপনি এই রোগকে এড়াতে পারবেন, এমন নয়। বরং সুস্থ থাকতে গেলে আপনার লাইফস্টাইলের উপর নজর দিতে হবে।  ডায়াবেটিস না থাকলে অবশ্যই মিষ্টি খাবেন। কিন্তু সীমিত পরিমাণে। কারণ চিনিযুক্ত খাবার কখনওই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। চিনিযুক্ত খাবার জীবন থেকে বাদ দিতে পারলে ভাল। মিষ্টি স্বাদ পেতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি ক্যালোরি মেপে মিষ্টি খান এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাহলে খুব বেশি এই ডায়াবেটিস নিয়ে ভাবার দরকার নেই।

 মরা প্রায়শই একটা কথা শুনতে পাই, 'এত বেশি মিষ্টি খাস না, সুগার হয়ে যাবে।' মিষ্টির প্রতি ভালবাসা থাকলেও ডায়াবেটিসের ভয়ে এড়িয়ে যেতে হয় রসগোল্লা। ইচ্ছা থাকলেও সন্দেশ খাওয়ার জো নেই। ওই যে সুগার বেড়ে যাবে। যদিও যে হারে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে সেখানে এই সাবধানতা বজায় রাখা দরকার।

তাছাড়া চিনি শরীরের জন্য যে বিষ সেটা সকলেই জানেন। তবে, মিষ্টি জাতীয় খাবার না খেলেও দুধ চায়ে চিনি ছাড়া চলে না। কিন্তু চিনি খেলেই যে ডায়াবেটিস জাপটে ধরবে, এমন কি কোনও প্রমাণ রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক…

চিনিযুক্ত খাবার কখনওই স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত নয়। হয়তো আপনি সারাদিনে এক চামচ চিনি খান। কিন্তু প্রতিদিন এক চামচ চিনি খেতে খেতেই শরীরে মারণ রোগের জন্য বাসা তৈরি করে ফেলেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চিনি এবং চিনিযুক্ত খাবার খেলে ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধি পায়। তা-ই তো মিষ্টি স্বাদের জন্য মধুকে এত বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু চিনি খেলেই সুগার হবে, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। অনেক সময় চিনি না খাওয়া মানুষদের শরীরেও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দেয়।

ডায়াবেটিস হল এমন একটি রোগ যেখানে ইনসুলিন হরমোনের উত্‍পাদন কম হয়, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। ইনসুলিন হরমোন অগ্ন্যাশয় থেকে নির্গত হয়। এই হরমোন রক্তে সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ করে। যখনই এই হরমোনের উত্‍পাদন কমে যায়, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সুতরাং, আপনার যদি ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে, তাহলে চিনি খাওয়ার পরও ডায়াবেটিস নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। চিনি খেলে অবশ্যই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে। কিন্তু ইনসুলিন হরমোন ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে। তাই এতে খুব বেশি ভয় নেই। কিন্তু আপনার শরীরে যদি ইনসুলিন হরমোনের তারতম্য ঘটে তাহলে চিনি খেলে বিপদ। তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকবে এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন হরমোন কাজ করতে পারবে না।

ডায়াবেটিস যে শুধু চিনি যুক্ত খাবার খেলেই দেখা দেয়, তা কিন্তু নয়। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে শরীর নিজে থেকে ইনসুলিন হরমোন তৈরি করতে পারে না। সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে এই হরমোন শরীরে প্রবেশ করাতে হয়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস কারও হাতে নেই। কিন্তু টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের পিছনে দায়ী লাইফস্টাইল। শুধু চিনি নয়, যে কোনও অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়াই এই রোগের কারণ। তার সঙ্গে শরীরচর্চা অভাব, অনিদ্রা, মানসিক চাপের মতো সমস্যা রয়েছে। তাই শুধু মিষ্টি খাবার বন্ধ করে দিয়ে যে আপনি এই রোগকে এড়াতে পারবেন, এমন নয়। বরং সুস্থ থাকতে গেলে আপনার লাইফস্টাইলের উপর নজর দিতে হবে।

ডায়াবেটিস না থাকলে অবশ্যই মিষ্টি খাবেন। কিন্তু সীমিত পরিমাণে। কারণ চিনিযুক্ত খাবার কখনওই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। চিনিযুক্ত খাবার জীবন থেকে বাদ দিতে পারলে ভাল। মিষ্টি স্বাদ পেতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি ক্যালোরি মেপে মিষ্টি খান এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাহলে খুব বেশি এই ডায়াবেটিস নিয়ে ভাবার দরকার নেই।

Post a Comment

আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!

Previous Post Next Post