'ghost town' of Al Madam: ভূতুড়ে কাণ্ড, দিনে আছে অথচ রাতের বেলা গায়েব হয়ে যায় একটা গোটা গ্রাম, হতবাক গবেষকরাও

দিনেরবেলা দিব্য রয়েছে গ্রাম, কিন্তু রাত হলেই তা উধাও! কোথায় চলে যায় গ্রাম? সঠিক উত্তর জানা নেই গবেষকদেরও! দুবাইয়ের এই 'ভুতুড়ে গ্রাম' আল মাদাম-কে আজও রহস্যে মোড়া! 
দিনের বেলা দেখা যায় চারদিকে বালির রাশি। মাঝখানে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি আর একটি মসজিদ। গ্রামে কোনও জনবসতি নেই। প্রতিটি বাড়ি-ই ফাঁকা।

গবেষণায় প্রাথমিকভাবে জানা যায়, এই গ্রমাএ বহু বছর আগে এক কঠিন অসুখ ছড়িয়ে পড়ে। অসুখের প্রকোপে গ্রামের সব মানুষ মারা যান। রোগের ভয়ে আর কেউ পরবর্তীতেও ওই গ্রামে বসতি গড়েনি। 
 স্থানীয়দের দাবি, ১৯৭০ সালের আশপাশে এই গ্রামটির সৃষ্টি। দুবাই থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে মরুভূমির মাঝে শারজার সীমানালাগোয়া এই গ্রামে যে-কয়েকটি বাড়ি রয়েছে, সেগুলির দরজা-জানলা হাট করে খোলা।

ঘরের আসবাবপত্রও এলোমেলো। 
 কিন্তু দিনেরবেলা গ্রামটি দেখা যায়, ঘোরা যায়, কিন্তু রাতেরবেলা কোথায় গায়েব হয়ে যায় গ্রামটি? এই রহস্যের সঙিক কিনারা আজও হয়নি। অনেক বিজ্ঞানীদের মত, দুবাইয়ের মরুভূমিতে সারাক্ষণ বালি ওড়ে।

হয়তো সেই কারণেই, রাতের বেলায় বালিতে ঢাকা পড়ে যায় গোটা গ্রাম। কিন্তু এই যুক্তির পালটা অনেক গবেষকরা প্রশ্ন তুলেছেন, রাতে বালিতে চাপা পড়ে গেলেও, দিনে কী করে অত তাড়াতাড়ি বালি সরে গিয়ে গোটা গ্রাম দৃশ্যমান হয়ে ওঠে? 

অনেক বিজ্ঞানীরা আবার এও মনে করেন, দুবাই যেমন অর্ধেক মরুভূমি, তেমনই রয়েছে সমুদ্র। ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি বাতাস দ্রুত গরম হয়, আর উপরের দিকের বাতাস সমুদ্রের কারণে ঠান্ডা থাকে। ফলে নীচের দিকে যখন আলোর প্রতিসরণ হয়, তখনই মনে হয় গ্রামটি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে।

 

Post a Comment

আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!

Previous Post Next Post