নওগাঁয় আবারও পুকুর থেকে সনাতন সম্প্রদায়ের দেবতা নারায়ণের দুটি প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার

 


নওগাঁয় আবারও দুটি পাথরের প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। মূর্তিগুলো সনাতন সম্প্রদায়ের দেবতা নারায়ণের। বিজিবির দাবি, মূর্তিগুলো পাচারের উদ্দেশে আনা হয়েছিল এবং সেগুলো কষ্টি পাথরের। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে জেলা থেকে পাঁচটি মূর্তি উদ্ধার করা হলো।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি-১৪ জানায়, জেলার ধামইরহাট উপজেলা থেকে মূর্তিগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন খবর আসে চকচন্ডি বিওপির সীমান্ত পিলার ২৬৩/৫-এস হতে ৮০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে (জিআর-৮০৪৮৩৫, মানচিত্র-৭৮সি/১৬) সীমান্তবর্তী কৈগ্রাম নাওয়াল আদিবাসী পাড়ায় ভারতে পাচারের উদ্দেশে পাচারকারীরা কিছু মূর্তি জমা করে রেখেছে।


এমন তথ্যে চকচন্ডি বিওপির সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালিয়ে পুকুরে লুকিয়ে রাখা দুটি নারায়ণ মূর্তি উদ্ধার করা। উদ্ধার হওয়া একটি মূর্তির ওজন ৪৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। আরেকটির ওজন ১৭ কেজি ৭০০ গ্রাম।


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এছাড়াও একই জায়গা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে একটি শিবলিঙ্গ সাদৃশ্য পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। যার ওজন ৪৫ কেজি।


বিজিবি ১৪ (পত্নীতলা) ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হামিদ উদ্দিন জানান, মূর্তি পাচারের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি ধাম‌ইরহাট থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।


উদ্ধার পাথরের মূর্তিগুলো স্থানীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।




উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে ধামইরহাট উপজেলা উমার ইউনিয়নের কুলফৎপুর গ্রামের জাহেদুল ইসলাম হেলালের দখলে থাকা পুকুর থেকে প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার ছাড়াও আরো কয়েকটি মূর্তি উদ্ধার করেন পুলিশ ও র‌্যাব।


স্থানীয়দের অভিযোগ, মূর্তি পাচারের সঙ্গে এলাকার প্রভাবশালীরা জড়িত এবং তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে।

Post a Comment

আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!

Previous Post Next Post