আত্মহত্যার প্রবণতা বর্তমান সময়ে পৃথিবীজুড়ে অনেকটাই বেড়ে গেছে। কেন এ হার প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পিছনে একটা কারণ বের হয়ে এসেছে। জানা ...
আত্মহত্যার প্রবণতা বর্তমান সময়ে পৃথিবীজুড়ে অনেকটাই বেড়ে গেছে। কেন এ হার প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পিছনে একটা কারণ বের হয়ে এসেছে। জানা গেছে, যেসব মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ কম তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। ওয়ার্ল্ড অব স্ট্যাটিসটিকস এক টুইটে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে যারা আত্মহত্যা করেন বা করার চেষ্টা করেন তাদের মধ্যে অন্তত ৬০ শতাংশ মানুষ ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভোগেন।অর্থাত্ শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ যথাযথ থাকলে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেকটা কমে আসবে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব রয়েছে তাদের মধ্যে আত্মহত্যা বা আত্মক্ষতির প্রবণতা দেখা দেয়। যাদের ওপর গবেষণা করা হয়েছে- তাদের ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া হয়েছে। এতে দেখা গেছে, নিয়মিত ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বা ওষুধ দেওয়ার পরে তাদের মধ্য থেকে আত্মহত্যা বা আত্মক্ষতির প্রবণতা অন্তত ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেছে।
অনেকের মনে প্রশ্ন, মানুষের মধ্যে ভিটামিন 'ডি' র অভাব কেন দেখা দেয়? আসলে ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভোগে বিশ্বের অন্তত ৫০ শতাংশ মানুষ। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের গায়ের রং একটু বেশি চাপা তাদের ত্বকে ভিটামিন ডি-এর সংশ্লেষ তুলনায় কম হয়। অথবা যারা শরীরের সব অংশ ঢেকে পোশাক পরেন, তাদেরও শরীরে ভিটামিন ডি-র অভাব দেখা যায়।
ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে মূলত হাড় ও পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। এতে বোঝা যায় ভিটামিন ডি শরীরের হাড়ের যত্ন নেয়। তাই শরীরকে সূর্যালোকে উন্মুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি, ভিটামিন ডি বৃদ্ধির জন্য ফুড সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে। নিউট্রিশনাল সাপ্লিমেন্টও নিতে হয়।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!