৫ ফেব্রুয়ারী রোববার ভোররাতের কোনো এক সময় ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা, চাড়োল ও পাড়িয়া এই তিনটি ইউনিয়নে ১৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচু...
৫ ফেব্রুয়ারী রোববার ভোররাতের কোনো এক সময় ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা, চাড়োল ও পাড়িয়া এই তিনটি ইউনিয়নে ১৪টি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিদ্যা নাথ বর্মন বলেন-
রাতে কে বা কারা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নে ৯ টি, চাড়োল ইউনিয়নে ১ টি ও পাড়িয়া ইউনিয়নে ৪ টি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করেছে। ঘটনার পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ধনতলা ইউনিয়নের-
সিন্দুরপিন্ডির টাকাহারা হরিবাসর মন্দিরের ১ টি,
কৃষ্ণঠাকুর মন্দিরের ১ টি,
মনসা মন্দিরের ৫টি,
লক্ষ্মী মন্দিরের ১ টি ও
কালি মন্দিরের ১টি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে।
চাড়োল ইউনিয়নের-
কালী মন্দিরের ১ টি এবং
পাড়িয়া ইউনিয়নের-
বুড়া-বুড়ি মন্দিরের ১ টি,
লক্ষ্মী মন্দিরের ১ টি,
আমাতি মন্দিরের ১ টি ও
মাসানমাঠ মন্দিরের ১ টি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে।
স্থানীয় ধিরেন নাথ বর্মন বলেন-
প্রতিমাগুলোর হাত-পা, মাথা ভেঙে ফেলা হয়েছে। আবার কিছু প্রতিমা ভেঙে পুকুরের পানিতে ফেলে রেখেছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে গ্রামে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই এমনটা করা হয়েছে।।
স্থানীয় বাসিন্দা রঘুনাথ বলেন-
ঘটনা ঘটার পর থেকে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় আছি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।
সিন্দুরপিণ্ডি এলাকার বাসিন্দা কাশীনাথ সিংহ বলেন-
হঠাৎ করে কে বা কারা রাতের আঁধারে প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করেছে। এতে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় আছি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী আসলাম জুয়েল বলেন-
যেসব মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে এগুলো অনিরাপদহীনভাবে রাস্তার পাশে ছিল।
প্রতিমা ভাঙচুরের এই ঘটনাটি আসলে দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করি। এ ছাড়া সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন-
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমার কাছে মনে হয়েছে ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাংলাদেশে বর্তমান শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন-
আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলাম। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!