পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নতুন কিছু নয়। সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয় হিন্দুরা। বারবার অভিযোগ সত্ত্বেও মেলেনা ...
পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নতুন কিছু নয়। সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয় হিন্দুরা। বারবার অভিযোগ সত্ত্বেও মেলেনা সুবিচার। বিগত কয়েক দশকে নির্যাতনের শিকার হয়ে সিন্ধু ও পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছেন বহু হিন্দু ও শিখ পরিবার। করোনা মহামারিতেও থেমে নেই নির্যাতন। মহামারি এড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে নাগরিকদের বাড়ির ভিতরে থাকতে উৎসাহিত করছে, সেখানে পাকিস্তান তার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের গৃহহীন করার প্রক্রিয়া চালু রেখেছে।
সম্প্রতি, পাঞ্জাব প্রদেশের ভাওয়ালপুরের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর চেয়েও মারাত্মক ঘটনাটি হল, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ধ্বংসকারীদের প্রতক্ষ্য মদদ দিতে সঙ্গে ছিলেন ইমরান সরকারের আবসনমন্ত্রী তারিক বশির চিমার এবং প্রদেশটির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা শহীদ খোকর।
বেদনাদায়ক চিত্রগুলোতে দেখা গেছে, বুলডোজার দিয়ে বাড়িঘর নির্মমভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধ্বংসস্তুপের ওপর বুলডোজারটি দাঁড়িয়ে আছে এবং পুরুষ, শিশু ও মহিলার আর্তনাদ করে চলেছেন। পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য সরকারকে দোষারোপ করার কয়েকদিন পরে এই ঘটনা ঘটেছিল।
সম্প্রতি, একইরকম আরেকটি ঘটনায় পাঞ্জাব প্রদেশের খানওয়াল জেলার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকদের বাড়িঘর এবং কবরস্থান ধ্বংস করে দিয়েছিল ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের রাজনীতিবিদরা। পাকিস্তান এই জাতীয় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সুপ্রতিষ্ঠিত অপরাধী। সিন্ধু প্রদেশ এবং পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এ ধরণে ঘটনার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়। এছাড়া হিন্দু নাবালিকা মেয়েদের বিবাহের জন্য জোর করে অপহরণ করা এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে।
পাকিস্তান সরকার বিভিন্ন সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমবর্ধমান নির্যাতন ভিন্ন কাহিনীই বর্ণনা করে। ইসলামাবাদ তার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে, যা বিভিন্ন ধরণের নির্যাতন, সহিংসতা, গণহত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অপহরণ, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ইসলাম গ্রহণ ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। পাকিস্তানী হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, আহমদিয়া এবং শিয়াদের ইসলাম ধর্মে রূপান্তরের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে।
পাকিস্তানের ২০৮ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে বেশিরভাগ সুন্নি মসুলমান, হিন্দু সম্প্রদায়ের ১ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ সেখানে বসবাস করে৷
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া,এএনআই।
নিউজ ক্রেডিট- kalerkantho.com
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!