সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ১৫ দিনের ব্যবধানে কয়েকটি মন্দিরে ফের অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হানা দিয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের মক...
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে ১৫ দিনের ব্যবধানে কয়েকটি মন্দিরে ফের অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হানা দিয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের মকসদপুর গ্রামের মৃত অক্ষয় কুমার দাসের বাড়িতে পারিবারিক মন্দির শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দির, জগত দাসের বাড়িতে শ্রী কালাচাঁন মন্দির, মহাদেব দাসের বাড়িতে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দির, পৃথিশ দাসের বাড়িতে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দিরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হানা দিয়ে মন্দিরের জিনিসপত্র এলোমেলো, একটি মন্দিরে মুর্তির ছবি আগুন দিয়ে পুড়ানো, মন্দিরে থাকা গীতাশাস্ত্রসহ ধর্মীয় পুস্তকাদি ও দেবীমুলে অবস্থিত তুলসী গাছ উপড়ে তুলে নিয়ে যায়।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সফি উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দিরাই সার্কেল) বেলায়েত হোসেন শিকদার, ওসি কে এম নজরুল, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও করিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আছাব উদ্দিন সরদার, পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়াসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
গ্রামের পৃথিশ দাস, গকুল মনি দাস বলেন, আমরা হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে কোন রেষারেষি নেই। যুগযুগ ধরে আমরা মিলেমিশে বসবাস করছি। এঘটনা কে ঘটালো সেটাই আমরা বুঝতে পারছি না। দিরাই থানার ওসি কে এম নজরুল বলেন, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার স্যারসহ আমরা স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এরআগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতের আঁধারে দিরাই পৌরসদরের মজলিশপুর গ্রামে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাবাগাছ মন্দিরে টাইলস দিয়ে নির্মিত শিব মুর্তির ছবি ও রুপসী গাছতলায় রাখা প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
No comments
আপনার কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!